নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ কথা বলতে পারে সায়ন্তিকা। তবে কথাগুলো একটু জড়িয়ে যায়। তবে ও কানে একদম শোনে না। আপনার কথা বলার সময় ঠোঁটের ওঠানামা,মুখের ভঙ্গি দেখেই ও বুঝে যায় আপনি কি বলতে চাইছেন। আর তার ওপরই ও জবাব দেবে আপনাকে। তবে এসবের চেয়ে বড় কথা হলো,সায়ন্তিকার কাছে বড় ভাষা ওর রংতুলি। রং তুলি দিয়ে ও তার মনের ভাব ফুটিয়ে তুলছে। ছবি একে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকেও রাজ্য স্তরে তৃতীয় পুরস্কার নিয়ে এসেছে।
শিলিগুড়ি রথখোলায় বাড়ি সায়ন্তিকা ভট্টাচার্যের। ওর বাবা স্নিগ্নেন্ধু ভট্টাচার্য একসময় ভালো টেবিল টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন।আর মা সোমা ভট্টাচার্য গৃহ বধূ। কিছু সমস্যা থাকলেও সাধারনদের সঙ্গে পড়াশোনা করে নিজেকে সুন্দরভাবে মেলে ধরেছে সায়ন্তিকা।এখন ওর বয়স ২৪ বছর। অনেককে ও ছবি আকা শিখিয়ে চলেছে। সামাজিক অনেক সমস্যার ওপর ছবি একেছে সায়ন্তিকা।এরমধ্যে পরিবেশ বাঁচাও যেমন আছে তেমনই নারী নির্যাতন, কন্যা ভ্রুন হত্যা আছে।ছবি আকার পাশাপাশি সুন্দর হাতের কাজও জানে সায়ন্তিকা।নিজে হাতেই তৈরি করেছে অনেক টেডি বিয়ার।প্রতিবন্ধকতা জয় করে আরও অনেক হাতের কাজ শিখছে সায়ন্তিকা। শিখছে থ্রি ডি এনিমেশন,বিউটিসিয়ান কোর্স আর মেক আপ। কম্পিউটারের অনেক কাজও ওর জানে আছে। দেড় বছর বয়সের সময় ওর বাড়ির লোকেরা বুঝতে পারে সায়ন্তিকা কানে শুনতে পারে না।তারপর বিভিন্ন স্থানে ওকে তারা নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। কিন্তু কাজ হয়নি। পরে বিশেষ স্কুলে ওর স্পীচ থেরাপি হয়। কানে শোনার শক্তি না থাকলেও রংতুলি আর হাতের কাজ দিয়ে যেভাবে লড়ে চলেছে সায়ন্তিকা তাতে ও বুঝিয়ে দিচ্ছে আর দশ জনের থেকে কোনও অংশে ও কম নয়।