নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ওরা দুই বোন। একজন হিতেশি মন্ডল, আর একজন হিরন্য সুধা। দুজনেই গান,নৃত্য জানে। কিন্তু তবলার খুব নেশা। তাই বিহারের কাটিহার থেকে টানা ৬ ঘন্টা ট্রেনে চেপে ওরা শিলিগুড়ি আসে তবলা শিখতে।
কাটিহারে বাড়ি হিতেশি মন্ডলের। কাটিহার ডি এস কলেজে ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। অনার্স বটানিতে। আর হিতেশির বোন হিরন্য সুধা নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ওদের বাবা হরিসাধন মন্ডল এল আই সি এজেন্ট। আর মা মাধুরি মন্ডল পোস্ট অফিসের এজেন্ট।
দুবোনই নাচ,গানে পারদর্শী। মূলত ক্ল্যাসিক্যাল নিয়েই ওরা আছে। এর সঙ্গে বাড়তি সংযোজন তবলা।
হিতেশি আবার তবলায় ছোট বোনের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। কিছুদিন আগেই রায়গঞ্জে একটি তবলা বাজানোর প্রতিযোগিতায় টানা দেড় ঘন্টা ধরে তবলা বাজিয়েছে হিতেশি। আর পুরস্কারও এসেছে। প্রথম স্থান। এভাবে দশটির মতো পুরস্কার এসেছে তার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনেক সঙ্গীত শিল্পীর সঙ্গে তবলায় সঙ্গত করেন হিতেশি। ওর কথায়, বাবা আমাকে মেয়ে নয়, ছেলে হিসাবে দেখতে চেযেছেন। তাই গান নাচ সবেতেই পারদর্শী করে তুলতে চেয়েছেন। আর সেদিকে তাকিয়েই বোধহয় তবলায় আমার আরও বেশি করে এগিয়ে যাওয়া। তাই কাটিহার থেকে ছয় ঘন্টা ট্রেনে চেপে শিলিগুড়িতে গুরুজি সুবীর অধিকারীর কাছে তবলা শিখতে আসায় কোনও ক্লান্তি নেই আমাদের। ভবিষ্যতে তবলা শিল্পী হিসাবেই নিজেকে বেশি করে প্রতিষ্ঠিত করতে চান হিতেশি।
হিতেশির বোন হিরন্য সুধা আবার তবলা শেখায় মন দিয়েছে তার গানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। হিরন্য সুধা বড় হয়ে সঙ্গীত দিয়েই কিছু করতে চায়। আর সেই কারনে সে তবলা শেখাকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
ওদের গুরু বিশিষ্ট তবলা শিল্পী সুবীর অধিকারী বলেন, এই দুই বোনের তবলা শেখার আগ্রহ সত্যি অবাক করার মতো ব্যাপার। ওরা এতদূর থেকে ছয়ঘন্টা ট্রেন যাত্রা করে প্রায়ই শিলিগুড়ি আসে তবলার টানে, যা সত্যি উল্লেখ করার মতো দিক।
তবলার কিছু কিছু জিনিস ওরা শিখেছে। আগামীতে আরও কিছু ওদের শিখিয়ে দিতে চান সুবীর।