নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ তার বাবা সাভারি মটু তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লী লাগোয়া ত্রিচে গ্রামের একজন কৃষক। তারা চার ভাই। পরিবারের নানা সমস্যা আছে। তারমধ্যেই তিনি ছোট থেকে সঙ্গীতের নেশায় মাতেন। সেই নেশা আজও এই 48 বছর বয়সে ছাড়তে পারেননি। এখন সেই নেশা এমন হয়েছে যে চা বাগানের যেসব ছেলেমেয়ে কুনেশা করছে, তাদের তিনি এই সংগীত ও নৃত্যের নেশা দিয়ে মূলস্রোতে ফেরানোর এক অন্যরকম সাধনায় নেমেছেন ফাদার এডওয়ার্ড আরোগ্যরাজ। শিলিগুড়ি মাটিগাড়ার যীশু আশ্রম লাগোয়া জেভিয়ার সঙ্গীতাঞ্জলির তিনি একজন ডিরেক্টর। সেখানে তিনি পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের ধ্রুপদী সংগীত শেখাচ্ছেন। তার পাশাপাশি ভরতনাট্যম সহ অন্যান্য ধ্রুপদী নৃত্যও শেখাচ্ছেন। শনিবার এবং রবিবার ছুটির দিনে এই নাচ এবং গান শেখানো হয়। তাছাড়া বিভিন্ন চা বাগানে গিয়ে তিনি শেখাচ্ছেন নাচ গান। তার কথায়, অনেক ছেলেমেয়ে এই নাচ-গানের নেশায় পরে তাদের পুরনো খারাপ নেশা গুলো ছেড়ে দিচ্ছে। তাদের এখান থেকে নৃত্য শিখে সুচিতা কুজুর গোটা দেশে নাম করেছে। আবার শান্তিরানী হাসদাও রয়েছেন। ফাদার এডওয়ার্ড বলেন, পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েরা তাদের এখানে নাচ গান শিখতে এসে একটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছে। তাদের মধ্যে শক্তি আসছে।তারা অনেক জায়গায় মঞ্চে অনুষ্ঠান করতে পারছে।তাছাড়া ধ্রপদী সঙ্গীত ও নৃত্যের একটি আলাদা ইতিবাচক শক্তি রয়েছে। ধ্রুপদী সঙ্গীত এবং নৃত্য নিয়ে ফাদার এডওয়ার্ড অনেক কাজই করছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে ক্যারিয়ার অরিয়েন্টেড কর্মসূচির মধ্যেও তিনি কাজ করছেন। সিকিমের নামচি বিএড কলেজে তিনি ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কাজ করছেন। ফাদার বলছেন, আমি সংগীত এবং নৃত্য দিয়ে পরিবেশ সুন্দর করার কাজ চালিয়ে যাবো মৃত্যু পর্যন্ত। বহু পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়ে তার এখানে এখন ভিড় করছে। সেখানে তার সঙ্গে প্রতিভাবান শিল্পী ফাদার কল্যান কিশোর তির্কীও পুরোদমে কাজ করছেন।