নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ সেখানে আছে বাঁশ বাগান।একপাশে সুন্দর পুকুর,একপাশে চা বাগান।আর এক পাশে পদ্ম পুকুর।অন্য এক দিকে জৈব কৃষির বাগান। সন্ধ্যে হলে ঝি ঝি পোকার ডাক।শিলিগুড়ির গায়ে ফুলবাড়ির সোয়াসতিকা ইকো পার্ক রিসর্ট ঘিরেই এখন বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। পুজোর ছুটিতো বটেই অন্য সময়েও শিলিগুড়ির কাছে এত সুন্দর সময় কাটানোর জায়গা আর দ্বিতীয়টি নেই। শিলিগুড়ি ও তার পাশের এলাকার মানুষরাতো বটেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত এবং কলকাতা সহ দক্ষিনবঙ্গ থেকে কেও পাহাড় বেড়াতে এসে শিলিগুড়িতে এক দু’দিন সময় কাটাতে চাইলে গন্তব্য করতে পারেন এই ইকো পার্ক রিসর্টকে। চমৎকার পরিবেশবান্ধব সেখানকার মহল। নীরবতার মধ্যেই রিসর্টের কোনও স্থান থেকে সুন্দর কাঞ্চনজঙ্ঘাও দেখে নিতে পারেন। আকাশ পরিস্কার থাকলে সেখান থেকে পাহাড় দেখা যায় বেশ সুন্দর।
যারা বাইরে থেকে আসবেন তারা এই ইকো পার্ক রিসর্টে সময় কাটানোর সঙ্গে সঙ্গে পাশেই ফুলবাড়ির ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত দেখতে পারেন।তার সঙ্গে মহানন্দা ব্যারেজ,সেখানে অনেক পরিযায়ী পাখি আসে।হাতে সামান্য একটু সময় থাকলে গাজলডোবায় ভোরের আলো দেখে আসতে পারেন।আবার ফুলবাড়ি থেকে সামান্য দূরে কাওয়াখালিতে বিশ্ব বাংলা শিল্পী হাটে গিয়ে হস্ত শিল্পের অনেক সামগ্রী দেখে কেনাকাটা করতে পারেন।
ইকো পার্কে থাকার সময় সেখানকার জৈব কৃষির বাগান থেকে জৈব শাকসব্জি বেছে নিয়ে কিচেনে দিতে পারেন।রিসর্ট থেকেই তা আপনাকে রান্না করে দেবে।রিসর্টে থাকাখাওয়ার সুন্দর ব্যবস্থা আছে। আপনি ইচ্ছে করলে রিসর্টের পুকুর থেকে মাছ ধরতে পারেন। যদি ছেলেমেয়েরা সঙ্গে যায় খেলাধূলাও করতে পারে। সেখান থেকেই খেলার জন্য ব্যাডমিন্টন র্যাকেট, ক্রিকেট ব্যাট বা ফুটবল পেয়ে যেতে পারেন।
প্রখ্যাত শিল্পপতি দীপকরঞ্জন সেন মূলত এই রিসর্ট শুরু করলেও তার কন্যা সুদেষ্ণা সেন এর হাল ধরেছেন। এই রিসর্টকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহন করার জন্য বেঙ্গালুরু থেকে আন্তর্জাতিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে এসেছেন সুদেষ্ণা। আমেরিকায় গিয়েও কাজ করার অভিজ্ঞতা তার আছে। আবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমনের অভিজ্ঞতাও আছে।সেসবকে কাজে লাগিয়ে নিজে কিছু করার নেশায় নেমেছেন তিনি। মেয়ে হয়েও এরকম একটি পর্যটন নির্ভর শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সাহস যে সুদেষ্ণা নিয়েছেন সেজন্য তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকে। ফুলবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি যাওয়ার রাস্তায় সামান্য এগোলেই ডান হাতে পড়বে পেট্রল পাম্প।তার খানিক পরেই বাম হাতে রাস্তা থেকেই দেখা যায় নারায়না স্কুল।সে স্কুলের পাশ দিয়েই একেবারে পিছনের দিকে সোয়াসতিকা।রাস্তার ধারে সাইনবোর্ডও দেওয়া আছে। সোয়াসতিকায় যোগাযোগের নম্বর ৯৯৩৩৩৩৩১১১,৯০০২৭৭৬০৭০। সুদেষ্ণাদেবী জানালেন,পুজোয় ছুটি কাটানোর সুন্দর জায়গা এই রিসর্ট। পুজোর জন্য রিসর্ট এখন আরও সুন্দরভাবে সেজে উঠছে।সেখানে প্রবেশের কোনও প্রবেশমূল্য নেই। পুজোর পর বিজয়া সম্মিলনীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে সেখানে।