নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ শহিদ ক্ষুদিরামের আত্মবলিদান দিবস বুধবার শ্রদ্ধার সঙ্গে উদযাপিত হয় শিলিগুড়িতে। এদিন মাল্লাগুড়ি ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে মূল অনুষ্ঠানটি হয়।সেখানে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধির ফুলমালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ক্ষুদিরামকে।
১৯০৮ সনের ১১ ই আগস্ট ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করে শহীদ হয়েছিলেন ভারতের কনিষ্ঠতম বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু ।এদিন শিলিগুড়ি পুর সভার উদ্যোগে মাল্লাগুড়ি মোড়ে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে এই বীর বিপ্লবীর আত্ম বলিদান দিবস উদযাপন করা হয়। ক্ষুদিরামের মূর্তিতে পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অপরদিকে আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি সমিতির শিলিগুড়ি শাখার তরফে বুধবার শিলিগুড়ি মাল্লাগুড়ি স্থিত ক্ষুদিরাম বসুর মর্মর মূর্তির পাদদেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। গান, কথায়, কবিতায় এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।উচ্চারিত হয় চারণকবি পীতাম্বর দাস বিরচিত সেই বিখ্যাত ও আবেগের গান” একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি:::” । অর্চনা মিত্রের সঙ্গে গানে ছিলেন দীপা সরকার, জয়ন্ত ভট্টাচার্য, বাবলী রায় দেব প্রমুখ, গিটারে এ্যরিয়ান সরকার। তারপর কবিতা পাঠে অংশ নেন চায়না মুখার্জী, অর্চনা মিত্র,দীপা সরকার, অনিল সাহা,গণেশ বিশ্বাস প্রমুখ। ক্ষুদিরাম বসুর জীবন কর্ম নিয়ে বক্তব্য রাখেন শিবমন্দির স্থিত প্রয়াস ফাউন্ডেশন এর কর্ণধার বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, অনিল সাহা, জয়ন্ত ভট্টাচার্য, সজল কুমার গুহ। আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি সমিতির শিলিগুড়ি শাখার সম্পাদক সজল কুমার গুহ বলেন, ৩০ এপ্রিল ১৯০৮ অত্যাচারী কিংস ফোর্ডকে বোমা মারার ঘটনায় তার সহযোগী প্রফুল্ল চাকী, যিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়ার আগে নিজ রিভলবার দিয়ে নিজেকে শেষ করেন, তাঁর কোনো মর্মর মূর্তি শিলিগুড়িতে স্থাপন করা হয়নি। সেই প্রফুল্ল চাকীর মূর্তি শিলিগুড়িতে স্থাপন করতে হবে।শিলিগুড়ির বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ শীর্ষেন্দু পালও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র আনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা সংস্কৃতি সমিতি শিলিগুড়ি শাখার সম্পাদক সজল কুমার গুহ।