নিজস্ব প্রতিবেদন : শৈশব থেকেই কৈশোর, কৈশোর থেকে গৃহবধূ থাকা অবস্থায় তিনি বারবার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের বীরত্বের কথা শুনেছেন।বহু বার নেতাজির সঙ্গে দেখাও করতে চেয়েছেন।কিন্তু যেহেতু তিনি ছিলেন একজন মহিলা আর তখনকার দিনে মহিলাদের বাড়ির বাইরে বের হওয়াতে অনেক বিধিনিষেধ ছিলো। ফলে ইচ্ছে থাকলেও নেতাজির মতো বীর দেশনায়ককে স্বচক্ষে না দেখার আক্ষেপ এই বৃদ্ধ বয়সে এসেও তাঁকে কুড়ুে কুড়ে খায়। তিনি বলেন,একবার শুনেছিলেন তাদের বাড়ির কাছে বর্তমানে মাথাভাঙা সংলগ্ন কোনো এক স্থানে রয়েছে শৌলমারির আশ্রম।সেই আশ্রমে নাকি সাধুর বেশে উপস্থিত হয়েছেন নেতাজি। সেবারও তিনি শৌলমারির আশ্রমে গিয়ে সাধুর বেশধারী নেতাজিকে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করলে মহিলা হওয়াতে পরিবারের আপত্তি ছিলো বাড়ির বাইরে যাওয়া। ফলে দেখা হয়নি সেই সাধুকে।যদিও শৌলমারীর আশ্রমে সাধুর বেশ ধরে থাকা সেই ব্যক্তি আদৌ নেতাজি কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। শিলিগুড়ি হায়দরপাড়া শরৎ পল্লী নিবাসী ৯৯ বছর বয়স্কা বৃদ্ধা মুকুল দাস এই শীতে শীত উপেক্ষা করে নেতাজির ওপর কবিতা লিখছেন।শীত গ্রীষ্ম উপেক্ষা করে বিভিন্ন কবিতা লেখেন মুকুলদেবী।এখনো রাতের বেলা কম্বল মুড়ি দিয়ে কবিতা লেখেন।দেশ ভাগের যন্ত্রণা এখনো তাঁর মনে দগদগে ক্ষত চিহ্নের মতো রয়ে গিয়েছে। ১০০ বছরে পৌছানোর আগে এই বৃদ্ধা চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলেন,আজ যদি নেতাজির মতো দেশনায়ককে একবার চোখের সামনে পেতেন, একবার নয়– বারবার প্রনাম করতেন সেই মহামানবকে।মুকুলদেবী বলেন,নেতাজির জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে। ব্রিটিশের সময় মেয়েদের কষ্ট ছিলো সীমাহীন। আজকের আধুনিক মেয়েরা সেই তুলনায় অনেক ভালো রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ২৩শে জানুয়ারি নেতাজি জন্মজয়ন্তীর আগে ১০০ ছুঁইছুঁই এই বৃদ্ধার নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুনুন কবিতায়—
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :