নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ ডুয়ার্সের ঢেকলাপাড়া চা বাগান পনের বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে।সেখানকার সত্তর জনেরও বেশি শ্রমিক নিদারুন কষ্টে আছে।অভাব,অপুষ্টি তাদের নিত্য সঙ্গী। সেই শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরনের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরন করে ব্যতিক্রমী মানবিক মুখের পরিচয় দিলেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা তথা সমাজসেবিকা মিলি সিনহা।আর তার এই কাজে সবসময় পাশে থেকে উৎসাহ দিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সৌমির সদস্যরা।
গত ৩ আগস্ট মিলিদেবী বিরাট টিম নিয়ে ঢেকলাপাড়া চা বাগানে যান। এরপর সত্তর জন কস্টে থাকা চা শ্রমিক পরিবারের সদস্যের হাতে দুদিনের রেশন সামগ্রী,দেড়শজন স্কুল ছাত্রছাত্রীর হাতে খাতা,পেনসিল বক্স,পেনসিল,রাবার,সাবান,বিস্কুট,চকোলেট তুলে দেন।এরই সঙ্গে সেইসব চা শ্রমিকদের লড়াইয়ের মনোবল বাড়াতে অনুষ্ঠিত হয়,সহজযোগ আজকের মহাযোগ।পৃথিবীর ১৪০ টি দেশ এই বিশেষ ধ্যান করে শারীরিক- মানসিক অবস্থাকে ঠিক রেখেছে।চা শ্রমিকদেরও নিজেদের মনকে ঠিক রাখতে ধ্যান করবার পরামর্শ দেওয়া হয়।এই ধ্যান নিয়মিত করা হলে অনেক বাধা বা প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করা যাবে।
গত ১৮ জুলাই সমাজসেবিকা মিলিদেবীর মা বেলারানি সিনহা প্রয়াত হন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।নিজে রান্না করে অন্যকে খাওয়াতে ভালোবাসতেন শ্রীমতি সিনহা।তাই প্রয়াত মা-কে শ্রদ্ধা জানাতে মিলিদেবীর পরিবারের সদস্যরা এবং সৌমির সদস্যরা মিলে বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর ওই প্রয়াস নেন। এই চা বাগানের শ্রমিকরা বালিপাথর কুড়িয়ে কস্টের মধ্যে আছেন। জলপাইগুড়ির বাসিন্দা তথা সমাজকর্মী বাঘা গুহও মিলিদেবীদের এই কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত এই মানবিক মুখের প্রশংসা করেন।