নিজস্ব প্রতিবেদন,শিলিগুড়িঃ শিলিগুড়ির এক বাসিন্দা এখন নাসার বিজ্ঞানী।তার নাম ডঃ সুদীপ সেন।শিলিগুড়ি বানীমন্দির স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র তিনি।
বর্তমানে আমেরিকা নিবাসী ওই বিজ্ঞানী।কমাস আগেই তিনি তার নিজের শহর শিলিগুড়ি ঘুরে গিয়েছেন । আর সেই সময় তিনি জানান তার বিজ্ঞান গবেষণার কথা। তিনি বলেন, পৃথিবী থেকে একদিন শেষ হয়ে যাবে ইউরেনিয়ামের ভাণ্ডার। ফলে পরমাণু শক্তির ভাণ্ডার নিয়েও একদিন প্রশ্ন উঠবে। তাই বিজ্ঞানীরা বিকল্প শক্তি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন। বিভিন্ন ভাবে বিকল্প শক্তির সন্ধানে কাজ শুরু হয়েছে।
আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স সহ পৃথিবীর উন্নত দেশের বিজ্ঞানীরা তাদের কাজ করছেন। আর সেই কাজে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন ডঃসেনও।
শিলিগুড়ি হাকিমপাড়ায় বাড়ি তার । তিনি এখন আমেরিকার ভার্জিনিয়াতে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ এরো স্পেসের অধ্যাপক । তাছাড়া আমেরিকার উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি ইউনিভারসিটিরও আমন্ত্রিত অধ্যাপক তিনি । তিনি মুলত পদার্থ বিজ্ঞানী। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ এরো স্পেসের সঙ্গে ভার্জিনিয়া টেক, নাসার গোদারড স্পেস সেন্টার, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় , বোনিক ষ্টেট বিশ্ববিদ্যালয় মিলে বিকল্প শক্তির সন্ধানে প্লাজমা ফ্লো নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। নেওয়া হয়েছে গবেষণার বিশেষ প্রকল্প। ডঃ সেন জানালেন, টিউবের মধ্যে আছে আয়োনাইজড গ্যাস। তার একটা গতি আছে।সে নিয়েও চলছে কাজ। চলছে বিকল্প শক্তির সন্ধান । একইভাবে সূর্যের গ্যাসের গতির ওপর প্লাজমা বিজ্ঞান কাজ করছে। সেখান থেকেও বিকল্প শক্তির কাজ চলছে। অন্যদিকে ফ্রান্সে একটি কৃত্রিম সূর্য তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সেই কৃত্রিম সূর্য বা রিয়াক্টর তৈরির জন্য ফ্রান্স ছাড়া রাশিয়া, চিন,ইউরোপের ১৪ টি দেশ একযোগে কাজে নেমেছে। বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে হাইড্রোজেন ভেঙ্গে তৈরি হবে বিকল্প শক্তি। সেই রিয়াক্টর তৈরির স্কেচ তৈরি করতে বিজ্ঞানীদের লেগে গিয়েছে পাঁচ বছর। এখন সেই রিয়াক্টর তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের থিওরির মধ্যে ডঃ সেনের থিওরিও রয়েছে। ডঃ সেন জানালেন, বিকল্প শক্তির সন্ধানে তাদের গবেষণা পুরোদমে চলছে। আর সেই কৃত্রিম সূর্য তৈরি হলে তা থেকে বর্জ্য বা দূষণের সম্ভাবনা নেই। হাইড্রোজেনও পর্যাপ্ত পাওয়া যাবে। কিন্তু এখন পরমাণু শক্তি থেকে অনেক বর্জ্য বের হয়। তা থেকে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। শিলিগুড়ি বানি মন্দির স্কুল থেকে তিনি ১৯৮১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জেলাতে প্রথম হয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমেরিকায় যেসব অধ্যাপক কাজ করেন বা যেসব ছাত্রছাত্রী আছেন তাদের মৌলিক গবেষণার জন্য বিশেষভাবে উৎসাহ দেওয়া হয়। নতুন কিছু আবিস্কার করার নেশা বা মৌলিক কাজের গুরুত্বই সেখানে আলাদা। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি তারা সাইবার সিকুরিটি নিয়ে পড়াশোনার কোর্স চালু করেছেন। এনার্জি প্রযুক্তি নিয়েও বিশেষ প্রশিক্ষণ চালু হয়েছে।