নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ জন্ম থেকে একটি হাতই নেই রিদ্ধিমা পালের। তার বয়স দশ বছর। আবার সে মানসিকভাবেও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। অন্যদিকে তুনিরা চন্দও বিশেষ ধরনের চাহিদাসম্পন্ন। কিন্তু এই দুই শিশু কন্যা বেশ ভালো নাচ করে। কথ্থক থেকে শুরু করে অন্য অনেক নাচ তারা সাধারণদের সঙ্গে নিয়মিত অনুশীলন করে চলেছে। নাচ একদিন না করলে ওদের মুড যায় বিগড়ে।
শিলিগুড়ি দেশবন্ধুপাড়ায় রয়েছে নৃত্য মঞ্জিল। সেখানে নৃত্য শিল্পী হিসেবে রয়েছেন শ্রাবণী চক্রবর্তী। বহু শিশু কিশোরী সেখানে নিয়মিত নাচ শিখতে আসে। শ্রাবনীদেবীও বেশ নিষ্ঠা সহকারে নাচ শিখিয়ে চলেছেন। আর সেখানেই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন রিদ্ধিমা পাল ও তুনিরা চন্দ অনেকের নজর কাড়ছে। রিদ্ধিমার একটি হাত নেই জন্ম থেকে। আবার মানসিক প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। সেসব প্রতিবন্ধকতা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে অর্ধেক এক হাত, অন্য আর এক হাত এবং দুপা নাড়িয়ে বেশ নজরকাড়া ছাত্রী হয়ে উঠেছে রিদ্ধিমা। আবার তুনিরাও কম যায় না। দুজনে আবার বেশ বন্ধু। নাচের ক্লাস ওরা সহজে বাদ দেয় না। রিদ্ধিমার মা পিঙ্কি পাল বলেন, আমার মেয়ের দশ বছর হয়েছে। নাচ না করতে পারলে ও বাড়িতে ছটফট করতে থাকে। নাচ করা ওর চাইই। নাচের প্রতি ওদের এই টানের প্রশংসা করেন নৃত্য শিল্পী শ্রাবনী চক্রবর্তীও।
অন্যদিকে শ্রাবণীদেবী জানিয়েছেন, আগামী ১১ আগস্ট রবীন্দ্র তিরোধান বাইশে শ্রাবণকে সামনে রেখে দেশবন্ধু পাড়ায় কবি প্রণাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে নৃত্য মঞ্জিল। এছাড়া ১৪ আগস্ট সাহুডাঙি রামকৃষ্ণ আশ্রমের স্কুলে নৃত্য মঞ্জিল জামাকাপড় বিলি করবে। সেখানে অনেক পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে। তাদের সকলের মধ্যে তারা সেদিন বিলি করবেন মধ্যাহ্ন ভোজন। সকলকে নৃত্য মঞ্জিলের ছাত্রীরা রাখি পড়াবে।