নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজের ব্যবসা বানিজ্যকে দাঁড় করানোর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো মাটির সঙ্গে মিশে থাকুন,ডাউন টু দ্য আর্থ হয়ে থাকুন।একটু ভালো ব্যবসা হলো মানে আমি হনু হয়ে গিয়েছি এমন ভাবনা মনে আনবেন না।এই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশিষ্ট বাঙালি শিল্পপতি সঞ্জয় মুখার্জি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে গোটা দেশ এবং বিদেশেও তাঁর এস আই সার্জিক্যাল এর ব্যবসা বিস্তৃত। চিকিৎসা উপকরণ তৈরি করে এস আই সার্জিক্যাল। সেই এস আই সার্জিক্যাল এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হলেন সঞ্জয়বাবু শীঘ্রই আফ্রিকার কেনিয়া এবং লন্ডনেও তিনি তাঁর ব্যবসার শাখা বিস্তৃত করছেন।এরকম একজন প্রতিভাবান শিল্পপতি সঞ্জয়বাবু কিন্তু নতুন প্রজন্মের বহু ছেলেমেয়ের কাছে একটি দৃষ্টান্ত বা প্রেরনার উদাহরণ। বহু কষ্ট লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠানকে আজ একটি জায়গায় নিয়ে এসেছেন। এরপরও কিন্তু তাঁর মধ্যে বিন্দু মাত্র অহঙ্কার নেই। যাকে বলে একেবারে মাটির মানুষ। কিন্তু বাঙালি শিল্প বানিজ্যে পিছিয়ে পড়ছে কেন,এ প্রশ্নের জবাবে সঞ্জয়বাবু এই প্রতিবেদককে পাল্টা প্রশ্ন করেন,কে বলে বাঙালি শিল্প বানিজ্যে পিছিয়ে পড়ছে? ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যায় ব্রিটিশের আগে এমনকি ব্রিটিশের সময়ও এই বাংলাই ছিলো ব্যবসাবানিজ্যের প্রধান কেন্দ্র। ব্যবসা বা শিল্প করার মতো মেধা এবং প্রতিভা বাঙালির মধ্যে রয়েছে। মাঝখানে বাঙালিরা একটু পিছিয়ে পড়েছে। তবে আবার কিন্তু বাঙালি শিল্প বানিজ্যে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছে।একজন বাঙালি শিল্পপতি বা বাঙালি ব্যবসায়ী আর একজন বাঙালি ব্যবসায়ীকে পিছন থেকে ঠেলে ওঠানোর চেষ্টা করছেন। এভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে বাঙালি কাজ করলে শিল্প বানিজ্যে বাঙালি ঘুরে দাঁড়াবে বলেই বিশ্বাস করেন সঞ্জয়বাবু।
নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যাঁরা শিল্প কারখানা খুলতে চান তাদের প্রতি সঞ্জয়বাবুর পরামর্শ, প্রথমতো নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।কেও যদি একটু সফটওয়্যারের কাজ জানেন, কেও যদি একটু রুটি তৈরি করতে জানেন তবে সেখান থেকেই চেষ্টা করলে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। মনে সাহস রাখতে হবে। ব্যবসা বা শিল্প করার মনোভাব রাখতে হবে। মনে জেদ তৈরি করতে হবে আর সততা দরকার রয়েছে। এছাড়া দিনে ১৪ বা ১৫ ঘন্টা পরিশ্রম করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :