উত্তরবঙ্গ এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার চিকিৎসা জগতে নতুন দিশা আনন্দলোকের পেট সিটি স্ক্যান এবং গামা মেশিন

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ বাংলাদেশের একাংশ,নেপাল, ভুটান,উত্তর বিহার,নিম্ন অসম সহ উত্তরবঙ্গের প্রচুর মানুষ ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য মুম্বাই বা দক্ষিন ভারতের রাজ্যগুলোতে যান। জটিল ব্যাধিতে ভুগতে থাকা মানুষজনকে শিলিগুড়ি হয়ে ওইসব বড় বড় শহরে যেতে হয়।কিন্তু শিলিগুড়িতেই যদি ক্যান্সার নির্নয়ের অত্যাধুনিক মেশিন বসানো যায় তবে সেই সব মানুষগুলোকে আর অতিরিক্ত অর্থ এবং সময় ব্যয় করে বাইরে যেতে হবে না।শিলিগুড়ির আনন্দলোক সোনো স্ক্যান সেন্টার সেই চিন্তা করেই ক্যান্সার নির্নয়ের অতি আধুনিক মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেয়।শিলিগুড়ি মহানন্দা সেতুর কাছে কুলিপাড়ায় রয়েছে আনন্দলোক সোনো স্ক্যান সেন্টার, তার পাশেই একেবারে আলাদা পরিকাঠামো এবং আলাদা বিল্ডিং তৈরি করে বসেছে পেট সিটি স্ক্যান মেশিন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে এই মেশিনের উদ্বোধন হয়ে যাবে।এখন মুম্বাইয়ের ভাবা এটমিক রিসার্চ সেন্টার এবং এটমিক এনার্জি রিসার্চ বোর্ডের তরফে ওই মেশিন শুরু করানোর আগে বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার আনন্দলোক সোনোস্ক্যান সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ অরিন্দম প্রামাণিক এসব তথ্য জানিয়ে বলেন,ক্যান্সার নির্নয়ের অতি আধুনিক পেট সিটি স্ক্যান মেশিন বসানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিকাঠামোতেই গামা ক্যামেরাও বসছে। গামা ক্যামেরার সাহায্যে ত্রিশটি এবং পেট সিটি স্ক্যান মেশিনের সাহায্যে দশটি সবমিলিয়ে চল্লিশ রকম ব্যাধি চিহ্নিতকরনের কাজ সহজ হবে। সেই অনুযায়ী সেসবের চিকিৎসাও সহজেই করতে পারবেন রোগীর পরিজনরা।উত্তরবঙ্গ সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় চিকিৎসা জগতে এ এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলা যায়। এই এলাকা থেকে জটিল অনেক রোগের চিকিৎসার জন্য রোগী ও তাদের পরিজনদের বাইরে যেতে হয়।দেশের বড় বড় শহরে যাতায়াত করার অতিরিক্ত খরচ,তার সঙ্গে হয়রানিও রয়েছে, সেই সব অশান্তি এখন অনেকটাই দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আনন্দলোক স্কোনো স্ক্যান সেন্টার এতদিন বিভিন্ন রোগ নির্নয়ের পরীক্ষানিরীক্ষার সঙ্গে চিকিৎসার দিশাও দেখাতে পেরেছে রোগী সাধারণকে।সেই চিকিৎসা যাত্রায় আরও আধুনিকতম ব্যবস্থাপনা শুরু হলে বহু মানুষের প্রানও বাঁচবে। জটিল ব্যাধি হওয়ার আগে বা রোগের শুরুতেই তা চিহ্নিত করা গেলে রোগীর আয়ুও অনেকটাই বেড়ে যাবে।ডাঃ প্রামাণিক জানিয়েছেন,তাঁরা গরিব সাধারণ রোগীদের কথাও চিন্তা করেন।

বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষাতে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব সাধারণ রোগীদের অনেক ছাড় দিয়ে থাকেন। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে তাঁরা মাত্র ৫০০ টাকায় ক্যালসিয়াম স্কোর নির্নয় করে থাকেন। এককথায় এই অঞ্চলের মানুষের কথা চিন্তা করেই সর্বপ্রথম অত্যাধুনিক পেট সিটি স্ক্যান এবং গামা মেশিন বসছে শিলিগুড়িতে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়া নিম্ন অসম,বিহার,সিকিম,ভুটান থেকে বহু মানুষ এই মেশিন সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন। নতুন বাংলা বছরে এই এলাকার মানুষের চিকিৎসার জন্য আনন্দলোক কর্তৃপক্ষের এটি একটি বড় দিশা বললেও ভুল হবে না।