
নিজস্ব প্রতিবেদন : কেউ অর্থ রোজগার করে সেই অর্থ সৎকাজে বা পুণ্যকর্মে ব্যয় করলে তার কাছে আবার সেই অর্থ ফিরে আসে। সৎ কর্মে ব্যয় করা অর্থ ফিরে আসে আরো দ্বিগুণ অর্থ নিয়ে। আর কারো কাছে অর্থ থাকলে সেই অর্থ যদি অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হয় তবে একসময় সেই অর্থ আসাই বন্ধু হয়ে যায়। তার সঙ্গে সঙ্গে অসৎ উদ্দেশ্যে অর্থ ব্যয় করার ফল ভোগ করতে হয় তৃতীয় প্রজন্মকে। অন্তত ভাগবত শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা অনুযায়ী এমন কথাই মেলে ধরলেন বৃন্দাবনবাসী ত্রিদন্ডি স্বামী ভক্তি নিলয় হরিজন মহারাজ। এই ভক্তি নিলয় হরিজন মহারাজ বৃন্দাবন নিবাসী। গত ২৪ ফেব্রুয়ারী থেকে পয়লা মার্চ পর্যন্ত তিনি শিলিগুড়ি দেশবন্ধু পাড়ার নরোত্তম গৌড়ীয় মঠে ভাগবত প্রবচন পাঠ করতে আসেন। সেই সময় খবরের ঘণ্টাকে তিনি ওই সব কথা জানান। একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, মনকে যত সৎসঙ্গ বা সাধু সঙ্গে রাখা যাবে ততই মন ভালো থেকে ভালোর দিকে যাবে। সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। সৎসঙ্গ করলে মন হয়ে ওঠে শক্তিশালী। বর্তমানে চারিদিকে হিংসা, রোগ ব্যাধি সহ মানুষের দুঃখ বাড়তে থাকায় বৃন্দাবন নিবাসী এই ভক্তি নিলয় হরিজন মহারাজ বলছেন, আজকের প্রজন্মের শিশুদের নৈতিক শিক্ষা বা ভারতীয় সংস্কৃতির পরম্পরা শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে না। আজকাল এই শিশুরা শৈশব থেকে ক্যারিয়ারের পিছনে ছুটছে। বাবা-মা শিশুকে বড় ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার তৈরীর জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন। বড় হয়ে একদিন শিশু ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার তো হলো কিন্তু সংসারের সুখ নিয়ে আসতে পারল না। সেই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার দেখা গেল তার বাবা মাকে বৃদ্ধশ্রমে পাঠিয়ে দিল। অথবা সেই শিশু বড় হয়ে বিদেশে চলে গেল আর বাবা-মা নিঃসঙ্গ অবস্থায় দিন অতিবাহিত করতে লাগলো। সংসারে শুধু অশান্তি আর অশান্তি। তার সঙ্গে রোগ জ্বালা। এসবের মূলে একটি কারণ আধ্যাত্মিক শিক্ষা বা নৈতিক শিক্ষা বা ভারতীয় সংস্কৃতির অভাব।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন: