নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ এলাকায় বৃক্ষরোপন থেকে দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্য পুস্তক প্রদান, কম্বল বিতরন, কন্যাদয়গ্রস্ত গরিব পিতামাতাকে সাহায্য করা সবেতেই সমাজসেবী হিসাবে তাঁর সুনাম রয়েছে। উত্তরের অভিযান নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে এলাকায় নিয়মিত সামাজিক ও মানবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়াতে তাঁর কাছে বহু মানুষের বহু আব্দার থাকে। ব্যক্তিগতভাবে সেসব আব্দার মিটিয়েও চলেছেন। কিন্তু সেই আব্দার যাতে সবসময় আরও বেশি বেশি মেটাতে পারেন সেজন্য তিনি জনপ্রতিনিধি বা কাউন্সিলর হওয়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছেন। আর সেই কারনে আসন্ন ২২ জানুয়ারীর পুরভোটে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য তিনি সকলের কাছে দুহাত তুলে আর্শীবাদ চাইছেন । শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃনমূল প্রার্থী দিলীপ বর্মন এখন ব্যস্ত ভোট প্রচারে।ভোট প্রচারের ফাঁকেই তিনি জানালেন, ভোটে জয়ী হলে ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট, নিকাশি ব্যবস্থা চাঙা করা, নদীগুলোর সমস্যার দিকে নজর দেওয়া, পানীয় জল, জঞ্জাল অপসারণ প্রভৃতি বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তিনি প্রয়াস নেবেন।ভোটের আগে ব্যক্তিগতভাবে বহু বছর ধরেই মানুষের পাশে থেকেছেন। ভোটে জয়ী হলে আরও বেশি করে ওয়ার্ডবাসীর সমস্যা সমাধানই তাঁর প্রধান ধ্যানজ্ঞান বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ওয়ার্ডের মানুষ পানীয় জলের জন্য যাতে কখনোই অসুবিধেয় না পড়েন তার দিকে তিনি নজর দেবেন। ওয়ার্ডকে সবুজায়ন করা, দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরিও তাঁর বিরাট লক্ষ্য। মাল্লাগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটের দূষন সমস্যা সমাধানেও তিনি ব্রতী হবেন। চম্পাসারি ও তার আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে ওই ওয়ার্ডের অবস্থান। এলাকায় সুস্থ সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দিলীপবাবুর উদ্যোগে টানা সাতদিন ধরে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হয়ে আসছে যা ইতিমধ্যে একটি বিরল নজির সৃষ্টি করেছে সংস্কৃতি মনস্ক মানুষের মনে। তাঁর বক্তব্য, পিছিয়ে পড়া শিলিগুড়িকে এগিয়ে দেওয়ার স্বার্থে এবার শিলিগুড়ি পুরসভায় অবশ্যই তৃনমূলের বোর্ড চাই। শিলিগুড়ির সব মানুষকে বিষয়টি ভালো ভাবে উপলব্ধি করার সময় এসেছে।