নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ দীপাবলি এবং কালী পুজোর আগে আমরা অনেকেই সাধক তথা যোগ পুরুষ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ছিলেন বিরাট বড় কালী সাধক।তাঁর সঙ্গে এই সময় আমরা স্মরণ করি মা সারদাকেও। দেবী সারদাও ছিলেন কালী সাধিকা,তিনি ছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সহধর্মিণী। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁর এই সহধর্মিণীকে নিজে মা রুপে পুজো করে বিশ্বের ইতিহাসে নতুন এক আলোর রাস্তা দেখিয়ে যান।
নারী শক্তির মধ্যে দেবী দুর্গার প্রতিফলন ঘটে বলে আমরা বিশ্বাস করি।ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ অনুগামীরা মা সারদাকে জগৎ জননী হিসাবেও পুজো করেন।এই মা সারদাই বহু দর্শনের মধ্যে এক স্থানে বলেছেন,”কত সৌভাগ্য, মা এই জন্ম,খুব করে ভগবানকে ডেকে যাও।খাটতে হয়,না খাটলে কি কিছু হয়? সংসারে কাজকর্মের মধ্যেও একটি সময় করে নিতে হয় ঈশ্বরকে ডাকার জন্য। ঈশ্বরকে সমর্পণ করেই সব কাজ করতে হয়।” আর মা সারদাদেবী,ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এবং স্বামী বিবেকানন্দের দর্শনের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি রেখে সব কাজ চালিয়ে অন্যরকম এক শক্তি পাচ্ছেন শিলিগুড়ি লেকটাউনের শ্রী মা সরনির লাভলি দেব। স্বর্নালি বুটিক নামে ভিন্ন ধর্মী এক বস্ত্র প্রতিষ্ঠান সফল ভাবে চালিয়ে তিনি আজ একটি উল্লেখযোগ্য নাম। এবার দুর্গা পুজোর আগে তাঁর স্বর্নালি বুটিকে ক্রেতা সাধারণের ভিড় উপছে পড়ে। দুর্গা পুজোর পর এবার কালী পুজো এবং দীপাবলি। আর সেই উৎসবের সময়ও নানারকম ইউনিক সব কালেকশন নিয়ে তৈরি স্বর্নালি বুটিক। কালী পুজোর সঙ্গে ভাই ফোঁটার জন্যও তৈরি এই বস্ত্র প্রতিষ্ঠান। এরপর আবার শুরু হচ্ছে বিয়ের মরশুম। বিয়ের কনে সাজানোর নানান শাড়ির পাশাপাশি বিয়েতে উপহার দেওয়ার জন্য নানান শাড়ি এবং কুর্তি সেখানে রয়েছে। লাভলিদেবী জানালেন,বহু লড়াই সংগ্রামের পর আজ স্বর্নালি বুটিক একটি উল্লেখযোগ্য নাম হয়ে উঠেছে। মেয়েদের স্বনির্ভরতার জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আর এই সফলতার নেপথ্যে রয়েছে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, মা সারদা এবং স্বামী বিবেকানন্দের আর্শীবাদ বা কৃপা। কেননা ঠাকুর এবং মা সারদাকে সমর্পন এবং ভক্তি নিবেদনের পরই তিনি সব কাজ করেন।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —