নিজস্ব প্রতিবেদন,শিলিগুড়ি ঃ দার্জিলিং পাহাড় এবং সিকিমে গরম পড়তে না পড়তেই প্রতিবছর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পর্যটক আসেন। আর এই পর্যটকদের অনেকেই একরাত দু রাত করে শিলিগুড়িতে থাকেন। চৈত্রের শেষে এই সময়ে হয় বাসন্তী পুজো। শিলিগুড়িতে এমন একটি বাসন্তী পুজো হয় যেখানে পর্যটকরা অঞ্জলি দিতে পারেন। আবার সেখানে প্রসাদও গ্রহণ করেন। শিলিগুড়ি বিধান মার্কেট লাগোয়া বিমল সিনহা সরনিতে রয়েছে সেন্ট্রাল রেসিডেন্সি। সেখানেই থাকেন সেই লজ বা হোটেলের কর্ণধার নির্মল কুমার ঘোষ ওরফে সুকুমার। প্রতিবছরের মতো এবারও ১১ এপ্রিল থেকে তাদের সেন্ট্রাল রেসিডেন্সির বাড়িতে শুরু হতে চলেছে বাসন্তী পূজার উৎসব। সে পুজোয় অনেক পর্যটক অঞ্জলি দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও প্রসাদ পাবেন বলে নির্মলবাবু জানিয়েছেন।
২০০২ থেকে নির্মলবাবুরা শুরু করেন এই বাসন্তি পুজো।সেই হিসাবে এবার তাদের পুজো কার্যত ১৮ বছরে পা দিলো।পুজো যখন শুরু হয় তখন কয়লাডিপো ছিল নির্মলবাবুর।হঠাৎ তার মনে হয় বাসন্তী পুজো করবেন। আর তা করলেনও।প্রথমবার করার পর সবাই বললেন,একবার পুজো করলে পরপর তিনবার করতে হয়।সেই তিনবার পুজো করতে করতে আর তা বন্ধ করেননি।এখনও তা চলছে। তাদের সে পুজো আজ এলাকায় সার্বজনীন রুপ নিয়েছে। পুজোর মূল উদ্যোক্তা নির্মলবাবু ছাড়াও তার দুই ভাই গৌতম ঘোষ ও সুশান্ত ঘোষ। এবারের পুজোয় ১০ এপ্রিল পঞ্চমী। প্রতিমা তৈরি করছেন মৃৎ শিল্পী বাদল পাল। ঢাকিরা আসছেন হলদিবাড়ি থেকে। পুজোয় পুরোহিত থাকছেন মোট চারজন। এরমধ্যে দুজন আসছেন কলকাতা থেকে। একজন চন্ডী পাঠ করবেন। এবারে ১৫ তারিখ দশমী হলেও সেদিন বিসর্জন হবে না। কারণ সেদিন পয়লা বৈশাখ পড়েছে। আর পয়লা বৈশাখে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিল্পী সত্যজিৎ মুখার্জীর তত্বাবধানে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তাতে নির্মলবাবুর কন্যা অনুস্মিতা ঘোষ সহ আরও অনেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে। পুজোয় প্রতিদিন দেবীকে তিনবার ভোগ দেওয়া হয়। আর সকলের মধ্যে প্রসাদ বিতরনের ব্যবস্থা আছে। কোনওদিন খিচুড়ি , কোনওদিন পোলাও, কোনওদিন ফ্রায়েড রাইসের ব্যবস্থা থাকছে বলে নির্মলবাবু জানালেন। আরতি হয় প্রতিদিনই,সঙ্গে ভোগ বিতরন।এর বাইরে অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে ক্যুইজ, শঙ্খ বাজানোর মতো প্রতিযোগিতা থাকছে। এই সময়ে লজে যেসব আবাসিক থাকেন তারাও ইচ্ছে করলে পুজোর প্রসাদ গ্রহন করতে পারেন।