শিল্পী পালিত ঃঃ আজ খবরের ঘন্টার আত্মকথায় শিলিগুড়ি মাটিগাড়া সরোজ পল্লীর বাসিন্দা ভূমিকা দাস তার সৃজন কাজের কথা জানালো —
আমি ভূমিকা দাস। শিলিগুড়ি মাটিগাড়া সরোজ পল্লির বাসিন্দা। বর্তমানে আমি মাটিগাড়া গার্লস হাইস্কুল এর দশম শ্রেনীর ছাত্রী। আমার মা গৃহবধূ, বাবা ব্যবসায়ী। কর্মসূত্রে বাবা বেশি সময় দিতে না পারলেও মা আমার পাশে আছে বরাবরই।ছোট থেকেই আমি ছবি আঁকতে ভালবাসি।পেন ,পেন্সিল, মোম রং, কাঠ কয়লা ইত্যাদি দিয়ে আমি বাড়ির দেয়ালে বা খাতায় কার্টুন আঁকতাম, আঁকিবুকি করতাম। আঁকার প্রতি আগ্রহ দেখে আমার মা আমায় মাটিগাড়া চিত্র কুটির ,চিত্র শিল্পী ভাস্কর দে স্যারের আর্ট স্কুলে ভর্তি করে দেন ২০১৪ সালে। সেই থেকেই আমার পথ চলা শুরু। স্যার আমাদের হাতে ধরিয়ে যত্ন সহকারে আঁকা শেখান। আমরা খুব মন দিয়ে তার কথা শুনি ও আঁকার চেষ্টা করি। জল রং, মোম রং, চারকোল, পেন্সিল ইত্যাদি নানান মাধ্যমে আমাকে শেখানো হয়। কিন্তু আমি পেন্সিলে বেশি কাজ করে মজা পেতাম। আমার স্যার সেটা বুঝতে পেরেছিলেন।
তাই পেন্সিলে আকার ধরণ,স্বাদ,মজা সবকিছু দিয়ে স্যার আমাকে সেই ভাবেই শেখান। সাথে সাথে বকুনি খেতে হয়েছে অনেক। বিভিন্ন মানুষের হাতে আঙুলের ড্রয়িং ,আলোছায়া, মুখের ড্রইং, নাক,হাত,পা মানুষের শরীরের গঠন, still life, outdoor study এগুলো করিয়ে থাকে এবং এগুলো আমি খুব মজা করেই করে থাকি। নানান কিছুর মাঝে ভালোবাসাটাও লুকিয়ে থাকে স্যারের মধ্যে। স্যার বলেন, শুধুমাত্র পেন্সিলে কাজ করে, এমন অনেক শিল্পী আছে পৃথিবীতে। ভাল করে রোজ কাজ করে যা, একদিন ফল পাবি। তবে আমার পেন্সিলের কাজের মধ্যে আমার স্যারেরও যিনি শিক্ষক মহাশয় সেই শ্রী সুদীপ্ত রায় মহাশয়ের প্রতিকৃতি করে আমি অনেক প্রশংসা পেয়েছি।সাথে পেয়েছি অনেকের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। পেয়েছি আগামী দিনের নতুন কাজ করার রসদ। আরো ভালো কাজ করার আগ্রহ। রামকিঙ্কর প্রদর্শনী কক্ষতে ২০১৯ সালে আমার ছবি প্রদর্শিত হয়। ওটাই আমার প্রথম এক্সিবিশন। আমি প্রতিদিন নিয়মিত করে একটি ছবি আঁকি। অনেক গুলো প্রতিকৃতি আমি করেছি।আরো কাজ করবো। আগামী দিনেও আপনাদের সকলের আশীর্বাদ চাই সাথে। আর একটু ভালোবাসা যাতে করে আগামী দিনের পথগুলো সহজ ও সরল হয়। আমার পাওয়া সবচেয়ে বড় পুরস্কার আমার স্যার ভাস্কর দে।