নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়িঃ আগামী সপ্তাহে খুলতে চলেছে ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর আগামী বুধবার নাগাদ ফুলবাড়ি দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন চালু হয়ে যাবে।
এই বিষয়ে দুদেশের মধ্যে একটি বৈঠক আয়োজিত হয়েছে। এই বৈঠকে দু দেশের বিএসএফ এবং বিজিপি-র পাশাপাশি, দুদেশের শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাবলু হাসান খান মেহেন্দি, উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ি এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মহম্মদ আব্দুল খালেক। উপস্থিত ছিলেন ভারত এবং বাংলাদেশের ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং (C&F) অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ভারত থেকে ৫০ টি ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকতে পারবে। কিন্তু এক্ষেত্রে চালক এবং সহকারিদের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। একবার সীমান্ত পণ্য পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর, সেই সমস্ত লরির চালক এবং সহকারিদের সীমান্তে ১০ দিন আলাদাভাবে থাকার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এরপরই তারা সীমান্ত ছেড়ে যেতে পারবেন বলে সরকারি এজেন্সিগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বৈঠকে। তবে এই বিষয়ে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন দুই দেশের ইমপোর্ট এবং এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। ফুলবাড়ি এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মহম্মদ আব্দুল খালেক জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তাদের আপত্তি থাকলেও, আগামী বুধবারের মধ্যে সমস্ত জট কাটিয়ে ফুলবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য শুরু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী তারা।
লকডাউন শুরুর দুদিন আগেই শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ী দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ফুলবাড়িতে দাঁড়িয়ে রয়েছে কয়েকশো ট্রাক। ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে অন্যান্য জিনিস পত্রের পাশাপাশি, ভারত এবং ভুটান থেকে প্রচুর পরিমাণে বোল্ডার রপ্তানি হয়। মূল বাণিজ্যের একটা সিংহভাগ অংশই বাংলাদেশে এই বোল্ডার রপ্তানির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ফুলবাড়ী এবং সংলগ্ন এলাকার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ। নদী থেকে পাথর তোল, গাড়ীর মালিক এবং গাড়ী চালক এবং সহকারী মিলে সংখ্যাটা প্রায় ১ লক্ষ। আর ফুলবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিক্য শুরু হয়ে গেলে এই বিশাল সংখ্যার মানুষ যে স্বস্তি পাবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে ন।