নেটের প্রতি আসক্তি বাড়লেও গ্রন্থাগারগুলো বাঁচিয়ে রাখার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ গত ৩১শে আগস্ট ছিল গ্রন্থাগার দিবস।সেই বিশেষ দিনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি রথ খোলার জ্ঞানদা সুন্দরী গ্রামীন গ্রন্থাগারে গ্রন্থাগার দিবস পালনের অনুষ্ঠান হয়। গ্রন্থাগার দিবস পালনের অনুষ্ঠান করবার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক দিবসও এদিন সেখানে পালিত হয়। ডক্টর সর্ব্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং চারা গাছের টবে জল দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার কাউন্সিলর তথা মেয়র পরিষদ সদস্য এবং সেই গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতির সম্পাদক দুলাল দত্ত, গ্রন্থাগার প্রশাসনের এ ডি এল ও সৈকত গোস্বামী, গ্রন্থাগার পরিচালন সমিতির সভাপতি ধীমান বোস, প্রাক্তন গ্রন্থাগারিক নন্দিতা ঘোষ সিনহা, বর্তমান গ্রন্থাগারিক দেবব্রত রায় সহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানে সেরা শিশু পাঠক হিসেবে পুরস্কৃত করা হয় অদ্রীশ দেবনাথকে। আর সেরা পাঠিকা হিসেবে পুরস্কৃত করা হয় অমৃতা দত্তকে। অমৃতা দত্ত ২০১৯ সালে সেরা পাঠিকা হিসেবে কলকাতা নজরুল মঞ্চ থেকে পুরস্কার নিয়ে এসেছেন। বর্তমান ইন্টারনেট বা মোবাইলের যুগে বই পড়ার প্রতি যখন অনেক মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে তখন এই ধরনের পাঠক পাঠিকারা নিয়মিত গ্রন্থাগারে যাতায়াত করে গ্রন্থাগারগুলোকে উজ্জীবিত করে রাখার চেষ্টা করছেন। এদিনের সেই অনুষ্ঠানে খবরের ঘণ্টার সম্পাদক বাপি ঘোষ, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী তথা সঙ্গীত শিক্ষক অনিন্দিতা চ্যাটার্জিকে সম্বর্ধনা জানানো হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উত্তম ঘোষ। অনুষ্ঠানে কলাঙ্গনের বাচিক শিল্পীরা কবিতা পাঠ করে দেশপ্রেমের বার্তা দেন। তাতে অংশ নেন সুপ্তি সুর রায় সেন, তানিয়া দস্তিদার,রাজর্ষি সাহা, শোভনা দে, নন্দিতা সিনহা, বুলা চৌধুরী এবং কাকলি মজুমদার চাকি।নৃত্য পরিবেশন করেন ঋতুপর্ণা দত্ত সহ অন্যরা। শিক্ষক দিবসের দিন সম্বর্ধিত হওয়ায় বেশ খুশি সংগীত শিক্ষিকা অনিন্দিতা চ্যাটার্জি। চা বাগানের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে সংগীত চর্চা ছড়িয়ে দিতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন অনিন্দিতা দেবী। প্রাক্তন গ্রন্থাগারিক নন্দিতা সিনহা ঘোষ জানিয়েছেন, জ্ঞানদা সুন্দরী গ্রামীন গ্রন্থাগারকপ উন্নয়নের আলোকে তিনি নিয়ে আসতে পেরেছেন রাজ্য সরকারের সহযোগিতায়। এরজন্য তাকে অনেক লড়াইও চালাতে হয়েছে। এডি এল ও সৈকত গোস্বামী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে গ্রন্থাগারমুখী হওয়ার আবেদন জানান।কিছু মানুষ বই ছেড়ে যেভাবে নেট জগতে আসক্ত হয়ে পড়ছে সেই জায়গায় গ্রন্থাগার গুলো যাতে টিকে থাকে সেজন্য তিনি সকলের প্রতি আবেদন জানান। মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্ত বলেন, রাজ্য সরকার চায় সব সময় চারদিকে সুস্থ পরিবেশ তথা সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা। সেদিক থেকে গ্রন্থাগারের দিকেও মানুষ যাতে উৎসাহিত হয় সেটা তারা চাইছেন।সবমিলিয়ে এদিনের সেই অনুষ্ঠান এক অন্য মাত্রা পায়।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—