নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ ছোট থেকেই তাঁর নেশা ফটোগ্রাফি। এখনও চলছে সেই নেশা। তাই বিশ্ব ভারতীর ফটোগ্রাফিক অফিসার বা মিউজিয়ামের অডিও ভিস্যুয়াল ইনচার্জের দায়িত্ব সামলে একটু সময় পেলেই উত্তরবঙ্গে ছুটে আসেন
সৌরভ চক্রবর্তী। শিলিগুড়ি বাবুপাড়ার বাসিন্দা সৌরভ চক্রবর্তীর পড়াশোনা শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলে। তারপর শিলিগুড়ি কলেজ থেকে মাস কম্যুনিকেশনে স্নাতক। পড়াশোনার ফাঁকেই উত্তরবঙ্গের পাহাড়, ডুয়ার্সের জঙ্গল সবসময় তাঁর মনকে টেনে ধরতো। ক্যামেরা নিয়ে পাখি এবং বিভিন্ন বন্য প্রাণী বন্দি করার দিকে তাঁর নেশা বহু দিনের। সঙ্গে চলেছে তাঁর ট্রেকিং।
ফটোগ্রাফির সেই নেশা আজ তাঁকে বিশ্ব ফটোগ্রাফি মহলেও স্বীকৃতি দিয়েছে। তাঁর তোলা ছবি কুড়িটি দেশের ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীতে তাঁকে স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। কোনোটায় পেয়েছেন গোল্ড, কোনোটায় সিলভর।
২০১১ সালে ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ফটোগ্রাফির থেকে সৌরভ পেয়েছেন ডিস্টিংশন। এভাবেই ২০১২ সালে আন্তজার্তিক ফটোগ্রাফি সংস্থা থেকেও এসেছে তাঁর দুটি স্বীকৃতি। ২০১৭ সালে আবার ফটোগ্রাফি সোসাইটি অফ আমেরিকা থেকে বিশেষ স্বীকৃতি পান তিনি যা ভারত থেকে বলা চলে প্রথম। ২০২১ সালে রয়েল ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অফ লন্ডন থেকে বিশেষ স্বীকৃতি আসে তাঁর প্রতিভার।
বিশ্বভারতী থেকেই ফটো জার্নালিজমের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন সৌরভ। তারপর দিল্লিতে স্কুল অফ ফটো টেকনিক থেকে ডিপ্লোমা করতে হয় তাঁকে।কিছু দিন আগে তিনি নয়া দিল্লিতে ইউ এস দূতাবাসেও কাজ করেছেন।
তবে ফটোগ্রাফির ওপর যত কাজই তিনি করেছেন, যেখানেই তিনি গিয়েছেন, বারবার কিন্তু মন পড়ে থাকছে উত্তরবঙ্গে।এখন হিমালয়ান বার্ডের ওপর গবেষণাধর্মী কাজ করছেন। সৌরভ বলছেন, প্রকৃতিতে পাখির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। উত্তরবঙ্গে দুধরনের পাখি রয়েছে। একরকম পাখি হিমালয়ের উপরি ভাগ থেকে সমতলের জঙ্গলে নেমে আসে। আর একরকম পাখি রয়েছে যারা রাশিয়া,সাইবেরিয়া সহ পৃথিবীর অন্য অঞ্চল থেকে আসে উত্তরবঙ্গে। এরা কেও উত্তরবঙ্গে আসে আবহাওয়ার টানে স্রেফ ডিম পেড়ে বাড়ি তৈরি করতে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না বা তাদের ওপর কাজ শেষ করা একজন্মে সম্ভব নয়। এদের আবার অনেকরকম হরমোনাল পরিবর্তন হয়, হরমোনাল পরিবর্তনের সময় আবার এদের রংয়েরও পরিবর্তন হয়।পাহাড় থেকে সমতলে প্রকৃতির বাস্তু তন্ত্রেও এদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।