“বেসরকারি স্কুলের দৌলতে ছেলেমেয়েরা দেশের মনিষীদের ভুলতে বসেছে “

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ দেশের জন্য আমাদের মনিষী বা দেশপ্রেমিকরা বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচন করতে মনিষীরা নিজেদের অনেক সুখ বিসর্জন দিয়েছেন।নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যতই দেশপ্রেমিক মনিষীদের জীবন আদর্শ পড়বে, জানবে ততই তাঁরা আগামী দিনে সুনাগরিক হবে। কিন্তু প্রাইভেট আর ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর ব্যস্ততা অভিভাবকদের মধ্যে বাড়তে থাকায় ছেলেমেয়েরা আমাদের দেশের মনিষীদের ভুলতে বসেছে।নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস থেকে শ্রী অরবিন্দ,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,ক্ষুদিরাম,বিনয় বাদল দীনেশ,স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ যত মনিষী এবং দেশপ্রেমিক ছিলেন তাদের সম্পর্কে যত বেশি করে ছেলেমেয়েরা জানবে এবং তাদের অনুসরণ করবে ততই দেশ শক্তিশালী হবে। দেশের স্বাধীনতা দিবস ৭৬ বছরে পা দিতে চলেছে আগামী ১৫ই আগস্ট। তার আগে স্বাধীনতা দিবসের ভাবনায় এমন অভিমতই দিলেন বিশিষ্ট শিক্ষক সামসুল আলম। শিলিগুড়ি মহকুমার বিধাননগরের মুরলীগঞ্জ হাইস্কুলের তিনি একজন প্রধান শিক্ষক।গোটা দেশে আজ একটি দৃষ্টান্ত হলো মুরলীগঞ্জ হাইস্কুলে। সরকারি স্কুলগুলোর শিক্ষা নিয়ে যখন বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দেখা যায় তখন মুরলীগঞ্জ হাইস্কুলের মতো একটি সরকারি স্কুল কিভাবে গোটা দেশে দৃষ্টান্ত তৈরি হলো তা নিয়ে শিক্ষানুরাগী মানুষদের মধ্যে আলোচনার শেষ নেই। ইতিমধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে শিক্ষা রত্ন পুরস্কার পেয়েছেন মুরলীগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসুল আলম। গ্রাম বিশেষ করে চা বাগান অধ্যুষিত এলাকার একটি সরকারি স্কুল কিভাবে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলকে টেক্কা দিচ্ছে তা রীতিমতো বিস্ময়ের বিষয়। এই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক খবরের ঘন্টাকে বলছেন,বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের দৌলতে আমাদের ছেলেমেয়েরা দেশের মনিষীদের ভুলতে বসেছে। যদিও তাদের সরকারি স্কুল মুরলীগঞ্জ হাইস্কুলে নিয়ম করে ছাত্রছাত্রীদের মনিষীদের জীবন আদর্শ পড়ানো হয়।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —-