নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ ১৯৮০ সালে তিনি শিলিগুড়ি তরাই তারাপদ আদর্শ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজে যোগ দেন। আর অবসর গ্রহণ করেন ২০১৮ সালে। তারপর তিনি ২০১৯ সাল থেকে আইনজীবী পেশার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হন। কিন্তু মানুষের সেবা করার কাজ থেকে তিনি কখনো এক পাও পিছু হটেননি।পূবালী সেনগুপ্ত স্মৃতি সংস্থার মাধ্যমে তিনি ধারাবাহিকভাবে মানুষের সেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখছেন।
তিনি হলেন বিপ্লব সেনগুপ্ত। যখন তাঁর পুত্র সন্তান ঋকপ্রতীকের বয়স ছিল ২১ দিন, তখন তাঁর স্ত্রী পূবালি সেনগুপ্তের মৃত্যু হয়। তাঁর স্ত্রী ছবি আঁকতে ভালোবাসতেন, তাঁর স্ত্রীর মমত্ববোধ ছিল গরিব মানুষের প্রতি সেই কারনে ১৯৯২ সালে স্ত্রীর মৃত্যুর পরপরই তিনি গঠন করেন পূবালি সেনগুপ্ত স্মৃতি সংস্থা। সেই সংস্থা নানাবিধ সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষামূলক কাজের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আজও করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও চলছে তাদের কর্মকান্ড। একসময় নিজের টিউশনের অর্থ সবটাই সংস্থার সামাজিক কর্মকান্ডে দান করতেন বিপ্লববাবু আজ আইনজীবীর পেশা থেকে সংগৃহীত অর্থ তিনি দান করছেন সংস্থার সামাজিক কর্মকান্ডে। করোনা দুর্যোগের মধ্যেও করোনা বিধি মেনে কিছুদিন আগে তাদের অনুষ্ঠান হয়েছে শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ছাড়াও পাঁচটি ভাষায় প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা, দুঃস্থ মেধাবীদের শিক্ষা সামগ্রী প্রদান তাঁরা প্রতিবছর করে আসছেন আর তার মাধ্যমে এক দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছেন। যে সংস্থার প্রতিযোগিতায় শুরুতে প্রায় চারশ জন অংশ নিতো আজ তা প্রায় তিন হাজার ছাড়িয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে গোটা উত্তরবঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে তাদের সুস্থ ভাবনা এবং কর্মকাণ্ড। এভাবে বিপ্লববাবু তাঁর হারিয়ে যাওয়া স্ত্রীকেও বাঁচিয়ে রেখেছেন ব্যতিক্রমী ও মানবিক সব কাজের মাধ্যমে। আসন্ন স্বাধীনতা দিবস এবং শিক্ষকদিবসকে সামনে রেখেও তিনি নতুন ছাত্রছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করেন দেশ ও সমাজপ্রেমের ভাবনায়।