নিজস্ব সংবাদদাতা,শিলিগুড়ি, ৭ জুলাইঃ করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ফলওয়ালাই ছিল অনুপ্রেরনা। আর এই অনুপ্রেরনাই করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে অদম্য সাহস যুগিয়েছে। করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে এমনই অনুপ্রেরনার কথা শোনালেন শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর প্রধান অশোক ভট্টাচার্য। সোমবার সম্পুর্ন সুস্থ হয়ে ছাড়া পেলেন শিলিগুড়ির এক বেসরকারী হাসপাতাল থেকে। আগামী ১৪ দিন তিনি থাকবেন হোম আইসোলেশনে।
শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় গত ১৬ই জুন অশোক ভট্টাচার্য ভর্তি হয়েছিলেন শিলিগুড়ির এক বেসরকারী নার্সিং হোমে। নিউমোনিয়ার কারনে সেখানে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের ভি আর ডি এলে পাঠান হয় লালারস। সেই সোয়াব টেস্টে তার শরীরে করোনা সংক্রমন ধরা পড়ে। সেই সময় পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের হস্তক্ষেপে সেই বেসরকারী নার্সিং হোমেই শুরু হয় করোনা চিকিৎসা। তারপর থেকে প্রথম কদিন প্রচন্ড উৎকন্ঠার মধ্যে কাটে পরিবার ও দলীয় কর্মীদের। ফোন করে অশোক ভট্টাচার্যের শারিরীক অবস্থার খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দলের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব।
টানা ২০ দিন করোনার সাথে যুদ্ধ করে বর্তমানে তিনি করোনা মুক্ত। গত শনিবারই তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় অশোক ভট্টাচার্যকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই মতোই সোমবার দুপুরে ছাড়া পান প্রশাসকমন্ডলীর প্রধান। এদিন ছাড়া পেয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, শিলিগুড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের করোনায় জয়ী ফলওয়ালাই অনুপ্রেরনা যুগিয়েছে তাকে। ফলওয়ালার মধ্যে মৃত্যু ভয় দেখিনি। সেই সাহস যুগিয়েছে করোনার সঙ্গে লড়াই এর প্রতি মুহুর্তে। তবে সতর্কতার কোন বিকল্প নেই। আমরা যাতে ভাইরাসের কবলে না পরি তা নিশ্চিত করতে হবে আমাদেরকেই। তাই করোনা মানেই মৃত্যু নয়, এই লড়াইয়েও জেতা যায়। চাই শুধু আত্মবিশ্বাস।
এদিন দুপুরে নার্সিং হোম থেকে ছাড়া পেয়ে সোজা চলে যান বাড়িতে। তিনি এখন সম্পুর্ন করোনামুক্ত বলে জানিয়েছে নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। তবে তাকে আরও ১৪ দন থাকতে হবে হোম আইসোলেশনে।
ছুটি পাওয়ার পর করোনায় জয়ী অশোক ভট্টাচার্যকে নার্সিংহোম থেকে আনতে সকালেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব সহ বহু দলীয় কর্মী সমর্থক। অশোকবাবুর করোনায় সুস্থ হয়ে ফিরে আসার ঘটনায় যথেষ্টই স্বস্থিতে দল ও শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক মন্ডলী। তার করোনা যুদ্ধ জয়ের অদম্য সাহস করোনা আক্রান্তদের অনেকটাই অনুপ্রেরনা যোগাবে বলে মনে করছেন প্রশাসমন্ডলীর অন্যতম সদস্য শংকর ঘোষ।
এদিন অশোকবাবু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাকে ফুল দিয়ে সম্বর্ধনা জানায় নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে সিপিএমের পক্ষ থেকেও নার্সিং হোমের চিকিৎসক ও নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ফুল দিয়ে সম্বর্ধনা জানিয়েছেন খোদ অশোক ভট্টাচার্য।