নিজস্ব প্রতিবেদক, শিলিগুড়িঃ ২০০৯ সালে সুন্দরবনে আয়লার বিধ্বংসী ঝড়ের ওদের বাড়ি ঘর উড়ে গিয়েছিল। সর্বস্বান্ত হয়ে ওরা আশ্রয় নিয়েছিল শিলিগুড়ি টিকিয়াপাড়ার অনাথ আশ্রমে।তারপর চলতে থাকে ওদের লড়াই। সেই লড়াইয়ের প্রথম ধাপের পরীক্ষা ওরা দিতে চলেছে। আর কদিন বাদেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। আয়লা ঝড় থেকে আরো বহু ঝড়-ঝাপটা সামলে ওরা দুজন সুদীপ্ত দাস আর লব সর্দার বসতে চলেছে মাধ্যমিকেে। ওদের সঙ্গে সঙ্গে কোচবিহারের মহিষবাথানের শুভঙ্কর লস্করও মাধ্যমিকে বসতে চলেছে। শুভঙ্করের বাবা নেই, মা আছে। কিন্তু আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তাই ওকে চার বছর আগে শিলিগুড়ি অনাথ আশ্রমে রেখে গিয়েছে ওর মা। ফনিভূষণ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকে বসছে ও। পড়ার পাশাপাশি ও সঙ্গীত চর্চা করতে ভালোবাসে। বড় হয়ে পুলিশ বা সেনাবাহিনীতে নাম লিখিয়ে ও দেশের সেবা করতে চায়।
তবে উল্লেখ করার মতো দুই পরীক্ষার্থী সুদীপ্ত দাস আর লব সর্দার। সুদীপ্তর বাড়ি সুন্দরবনের পশ্চিম সীতলিয়াতে।ওর বাবা গুরুপদ দাস কৃষিকাজ করেন। আইলা ঝড়ে ওদের বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপর চলে আসে শিলিগুড়ি টিকিয়াপাড়ার অনাথ আশ্রমে। পড়ার পাশাপাশি সুদীপ্ত তার কল্পনাশক্তি দিয়ে শর্ট ফিল্ম তৈরি করে। ভবিষ্যতে ও একজন ফিল্ম ডিরেক্টর হতে চায়। সুন্দরবনের ঝড় থেকে এবার মাধ্যমিকে। ঝড়ে ওদের বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারপর আসে আরও অনেক ঝড়।শুরু হয় ওদের লড়াই। পরমানন্দ অনাথ আশ্রম এর সঞ্জয় মহারাজ ওদেরকে অনবরত উৎসাহ দিয়ে চলেছেন। লব বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে চায়। তিনজনই এখন পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে রয়েছে। তবে ওদের আর্থিক সমস্যা রয়েছে। পরীক্ষার হলে যাওয়া আসার জন্য কেউ যদি গাড়ি ভাড়া বাবদ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তবে ওদের খুব উপকার হয়। পড়ার পাশাপাশি ওরা অনেক সৃজনশীল কাজে যুক্ত। এখনো ওদের লক্ষ্য মাধ্যমিকে ভালো ফল করা। সুদীপ্ত ফণিভূষন আর লব তরাই স্কুল থেকে পরীক্ষায় বসছে।