নিজস্ব প্রতিবেদনঃ এনজেপির গেট বাজারের পাশে রয়েছে স্পর্শ ও স্পন্দন। দুঃস্থ অসহায় শিশুদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে এই সংস্থা। আর তাদের মধ্যে শিশুদের মা হিসেবে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন শ্বেতা সেন।
ওদের কারও বাবা নেই। কারও মা আছেতো বাবা নেই, কারও বাবা আছেতো মা নেই। কেও আবার শারীরিক ও মানসিকভাবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। কেও একেবারে নাম ঠিকানা গোত্রবিহীন অনাথ।কাওকে রাস্তা থেকে তুলে আনা হয়েছে।কেও নির্যাতনের শিকার। এইসব দুঃখী অসহায় শিশুদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে দিনের পর দিন কাজ করে চলেছে স্পর্শ ও স্পন্দন।
এনজেপি গেটবাজারের পাশে এই সংস্থার জন্ম ২০০৬ সালে। মোট সাত জনের কমিটি নিয়ে শুরু হয় কাজ। ২০০৮ সালে সংস্থার নাম সরকারিভাবে নথিভুক্ত হয়। ভারতীয় রেলের এন এফ রেল শাখাও মানবিক ও সামাজিক কারনেই এই সংস্থাকে বিনা পয়সায় পানীয় জল, বিদ্যুৎ দিয়ে সহায়তা করে চলেছে দিনের পর দিন।
স্থানীয় বস্তির অসহায় শিশুদের পাশেও দাঁড়াচ্ছে ওই সংস্থা। কোনও বাড়িতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুকে ওই এলাকায় শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হোত। বাড়িতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু মানে অভিশাপ হিসাবে ভাবা হোত। স্পর্শ ও স্পন্দন মানুষের সেই ভ্রান্ত ধারণাকে ভাঙতে শুরু করে বহু দিন ধরে। তারা মানুষকে বোঝাতে শুরু করে, এই শিশুদের প্রতি কখনোই অবহেলা করা ঠিক নয়। এভাবে এখন সেখানে ২৫ জন অসহায় শিশু রয়েছে। তাদেরকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে ভালো রাখার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন তাদের মা হিসাবে চিহ্নিত স্পেশাল এডুকেটর শ্বেতা সেন। তার সঙ্গে অন্য কমিটি সদস্যরাও রয়েছেন। কদিন আগেই সেখানে দীপাবলি পালিত হলো। তার আগে শিশুদের নিয়ে দুর্গা পুজোয় পরিক্রমা হয়। বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান সেখানে অন্যরকমভাবে উদযাপিত হয়। বিভিন্ন সমাজসেবীও এগিয়ে আসেন সহায়তার জন্য। তবে এই সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও সহায়তা, সহমর্মিতা দরকার বিভিন্ন মানুষের। সহায়তা করার জন্য যোগাযোগের নম্বর ৮৬১৭৫৯১৭১৪/
8617591714