পর্যটন গবেষণায় ব্যতিক্রমী রুনা

নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃউত্তরবঙ্গের পর্যটন গবেষণায় ব্যতিক্রমী হয়ে উঠেছেন শিলিগুড়ি অরবিন্দ পল্লীর শিক্ষিকা রুনা দাস।পর্যটনের ওপর তার এম ফিল ডিগ্রী করা হয়েছে।এবারে পি এইচ ডি করতে চান।আর সম্প্রতি তিনি তেলেঙ্গানার কাকাটিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পি এইচ ডি করতে যান।সেখানে পি এইচ ডি ডিগ্রীর করার জন্য তাকে ভর্তি নেওয়ার সবরকম প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরও তার নাম বাদ চলে যায় রহস্যময় কারনে।বিষয়টি লিখিতভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন রুনাদেবী।
তবে এরপরও হেরে যেতে চান না জলপাইগুড়ি পি ডি ওম্যানস কলেজের এই শিক্ষিকা। পর্যটন নিয়েই তিনি আরও পড়াশোনা এবং লড়াই চালিয়ে যেতে চান। জলপাইগুড়ির কলেজে তিনি পর্যটনের ওপর ক্লাস নেন । কিছুদিন আগে ডুয়ার্সের একটি বন্ধ চা বাগানের আদিবাসী মেয়েদের তিনি হোম স্টে ট্যুরিজমের ওপর প্রশিক্ষণ দেন। এভাবে আরও পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের স্বনির্ভরতার জন্য পর্যটনের পাঠ দিতে চান তিনি।তার কথায়,পর্যটনে বিরাট সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গে।আর তার জন্য আরও দক্ষ কর্মী প্রয়োজন। পর্যটনকে এগিয়ে দিতে তিনি উত্তরবঙ্গের পাহাড় থেকে সমতলের চা বাগানে ঘুরছেন।তাকে সহযোগিতা করছেন তার স্বামী কঙ্কন দাস।কঙ্কনবাবুও পর্যটনের শিক্ষক । শিলিগুড়ি কলেজে পড়ান তিনি। মেদিনীপুরের মেয়ে রুনাদেবী। বিয়ের সূত্রে চলে এসেছেন উত্তরবঙ্গে। তিনি বলেন,উত্তরবঙ্গের পাহাড়-নদী- জঙ্গল- চা বাগান মিলিয়ে পর্যটনে বিরাট সম্ভাবনা। তাই এখানে পর্যটন নিয়ে আরও গবেষণা,আরও পড়াশোনা করে তিনি লড়াই চালিয়ে যেতে চান।