নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের দূষন আজকের দিনে বিরাট এক সঙ্কট।একদিকে গাছ কেটে ফেলা,আরেকদিকে কার্বন দূষন।তার সঙ্গে রাসায়নিক সার ব্যবহার। সবমিলিয়ে বিভিন্ন ভাবে আমাদের পরিবেশ সঙ্কটে। পরিবেশে অন্যতম বড় সমস্যা প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার।প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নষ্ট হয় না।প্লাস্টিক আমাদের মাটির স্তরকে ভেঙে দিচ্ছে। ভূগর্ভস্থ জলস্তরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকেও সঙ্কটে ফেলছে। এই অবস্থায় আগের মতো কাগজের ব্যাগ,কাগজের ঠোঙা ব্যবহারের দিকে অনেকেই ঝুঁকেছেন।
শিলিগুড়ি মহকুমার বিধাননগরে রয়েছে উত্তর পূর্ব ভারতের একমাত্র কাগজ কারখানা সাফায়ার পেপার মিল। আপনার বাড়ির ফেলে দেওয়া সব কাগজ সংগ্রহ করে এই কারখানায় রিসাইকেলিং পদ্ধতিতে আবার নতুন করে ব্যবহার উপযোগী কাগজ তৈরি করা হচ্ছে। বিধান নগরের এই কাগজ কারখানা ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলে পরিবেশবান্ধব এক কাগজ কারখানা হিসাবে সুনাম অর্জন করেছে। সেই কারখানা থেকে কাগজ সংগ্রহ করে অনেকেই কাগজের শক্তপোক্ত ঠোঙা,শক্তপোক্ত ব্যাগ তৈরি করছেন।আর সেসবই পরিবেশবান্ধব। সেই কারখানায় সুন্দর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফেলে দেওয়া কাগজ থেকে নতুন কাগজ তৈরি হচ্ছে যা সত্যি দেখবার মতো।বহু বেকারের সেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে। বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোগী ও সমাজসেবী সঞ্জয় গোলেচা সমাজ তথা পরিবেশের কথা চিন্তা করে এধরনের এক কাগজ কারখানা দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গের বুকে। তাঁর এই পরিবেশবান্ধব ভাবনাকে সকলেই কুর্নিশ জানাচ্ছেন। তাঁর পুত্র, সাফায়ার পেপার মিলের অন্যতম ডিরেক্টর শ্রেনিক গোলেচা তাঁকে সবসময় সহযোগিতা করছেন।এইধরনের কারখানার উৎপাদন যাতে নজির তৈরি করতে পারে গোটা ভারতে তারজন্য সব কর্মচারিও সহযোগিতা করছেন। বলা যেতে পারে এ এক দৃষ্টান্ত। প্লাস্টিক যেভাবে পরিবেশকে শেষ করে দিচ্ছে সেখানে এই কাগজ কারখানা নতুন এক আশার আলো।তাই সর্বস্তরের মানুষ বাড়ির ব্যবহার করা খবরের কাগজ থেকে অন্য কাগজ যেখানে সেখানে ডাস্টবিনে না ফেলে দিয়ে যত্ন সহকারে রিসাইকেলিংয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।আর সেই কাজটি করলে আপনিও একজন পরিবেশপ্রেমী মানুষ হিসাবে চিহ্নিত হবেন। সেই কারখানার ডিরেক্টর শ্রেনিক গোলেচা পরিবেশ দিবসকে সামনে রেখেই এই রিসাইকেলিং নিয়ে কিছু কথা জানালেন।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —