গুজরাটে অনুষ্ঠিত কুডো প্রতিযোগিতার বিভিন্ন বিভাগে সোনা, রুপা,ব্রোঞ্জ জিতে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলো শিলিগুড়ির এই ছোট্ট শিশু কন্যা

নিজস্ব প্রতিবেদন : মাত্র আট বছর পার করেছে আরুষি প্রামানিক। ফুলবাড়ি ডি পি এসে ও তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ে। গুজরাটের সুরাটে কুড়ো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে সোনা,রুপা এবং ব্রোঞ্জ জিতে সকলের নজর কাড়তে শুরু করেছে ছোট্ট শিশু আরুষি।গত ২১ থেকে ২৯ নভেম্বর গুজরাটে সেই কুডো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিযোগীরা অংশ নেয় তাতে।৩৮ টি রাজ্য থেকে চার হাজারেরও বেশি প্রতিযোগি অংশ নেয়।সকলকে চমকে দিয়ে অক্ষয় কুমার ইন্টারন্যাশনাল কুডোতে আরুষি সোনার পদক জিতে নেয়।এছাড়া চতুর্থ কুডো ফেডারেশনের প্রতিযোগিতায় রুপা এবং জাতীয় কুডোতে ব্রোঞ্জ জিতেছে। ফলে এখন বেশ খুশি আরুষির বাবা গৌতম প্রামাণিক এবং মা সুনীতা প্রামাণিক। শিলিগুড়ি দেশবন্ধু পাড়ায় বাড়ি আরুষিদের।জাতীয় স্তরে ওর এই সাফল্যে গর্বিত আশপাশের লোকজন।রবিবার অনেকেই আরুষিকে পুস্প স্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আগামী দিনে ওর জন্য আরও সাফল্য করেন সকলে। আরুষির বাবা গৌতম প্রামাণিক এবং মা সুনীতা প্রামাণিক বলেন,সাত বছর বয়সে আরুষির জন্মদিনে তাঁরা আরুষিকে কুড়ো খেলার জন্য ভর্তি করে দেন প্রশিক্ষক সহদেব বর্মনের তত্বাবধানে। মূলত আত্মরক্ষার কৌশল শিখে ভবিষ্যতে আরুষি যাতে স্বনির্ভর হতে পারে সেই দিকেও লক্ষ্য ছিলো বাবা মায়ের। পড়াশোনার পাশাপাশি কুড়ো ছাড়া ছবি আঁকতে ভালোবাসে আরুষি,তাছাড়া ও গিটার বাজাতে পছন্দ করে। বলিউড সিনেমার নাচও শিখছে এই শিশু।সবমিলিয়ে এই বয়সেই বিভিন্ন প্রতিভা ওর মধ্যে ফুটে উঠেছে। আরুষি ওর মতো মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলে,মেয়েরা সবাই কুডো শিখুক।কুড়ো শিখলে শরীর ভালো থাকবে আর হঠাৎ বিপদ হলে তার থেকেও নিজেকে রক্ষা করা যাবে।কুড়োতে ভালো পারদর্শিতা দেখাতে পারলে আজকাল অনেক সুযোগ সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে। পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ কমাতেও কুড়ো, নৃত্য, মিউজিক এবং অঙ্কন তাকে বেশ সহায়তা করে বলে আরুষি জানায়।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —