নিজস্ব প্রতিবেদন,শিলিগুড়ি ঃ দার্জিলিং পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী সিঙ্কোনা বাগান রয়েছে মংপুতে। সেখানকার কারখানায় এখন আর ম্যালেরিয়ার ওষুধ ক্যুইনাইন তৈরি হয় না। প্রায় ১৮ বছর ধরে মংপুর এই সিঙ্কোনা কারখানা বন্ধ। তাই সিঙ্কোনা ঘিরে পর্যটন শিল্প প্রসারের প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে জমা পড়েছে।
একটা সময় দার্জিলিং পাহাড় এবং সমতলে ম্যালেরিয়া লেগেই থাকতো। ব্রিটিশ সরকার ১৮৬৪ সালে মংপুতে সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে ক্যুইনাইন তৈরির কাজ শুরু করে। পরে সিঙ্কোনা ছাড়া বিশ্বকবির স্মৃতি বিজড়িত স্থান হিসাবে খ্যাতি লাভ করে মংপু। এখন সেখানে ক্যুইনাইন তৈরি না হলেও সেই গাছের ছাল বাইরে বিক্রি করা হয়। যদিও জি টি এ সিঙ্কোনা বাগানের ৫৪ একর স্থানে কফি চাষ শুরু করেছে। দার্জিলিং চা এর মতো কফিকেও জনপ্রিয় করার প্রয়াস শুরু হয়েছে। মংপুতেই সিঙ্কোনা বাগানের ৭১০০ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে আবার কিছু স্থানে টেক্সাস বাতাটার চাষ শুরু হয়েছে। কিন্তু বিরাট এলাকার বাগান ও কারখানা এলাকায় পর্যটন শিল্প প্রসারের প্রস্তাব জমা পড়েছে রাজ্য সরকারের কাছে।সিংকোনা বাগানের অধিকর্তা স্যামুএল রাই জানালেন, ব্রিটিশ আমলে তৈরি অনেক বাংলো আছে সিংকোনার অধিনে।সেই সব স্থানে পর্যটকরা অনায়াসে থাকতে পারে। বেসরকারিভাবে সেখানে হোম স্টেও হতে পারে।