গিটার বাজান আর কবিতা লেখা বাড়তি মনোবল এনে দিয়েছে অভিজিৎকে

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ সুন্দর গিটার বাজান অভিজিৎ রায়। কবিতা লেখাতেও কম যান না।করোনার ওপরও তাঁর কবিতা লেখা আছে। আসলে এই গিটার, কবিতা তাঁকে ইউ পি এস সি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বাড়তি শক্তি দিয়েছে। মনে ইতিবাচক ভাবনা তৈরি করেছে। এসবের সঙ্গে তাঁর বাবা ডাঃ মুকুল রায়,মা ডাঃ চন্দ্রা রায়ের প্রেরনা এবং বন্ধুবান্ধব সকলকে কৃতিত্ব দিতে চাইছেন সাফল্যের পিছনে।
শিলিগুড়ি হাকিমপাড়া দুধ মোড় এলাকায় বাড়ি তরুণ প্রতিভা অভিজিৎ রায়ের।ইউ পি এস সির পরীক্ষা ফলাফলে এবার তাঁর র‍্যাংক ৫০। ফলে তাঁকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। ফলাফল প্রকাশিত হতেই তাঁকে সবাই শুভেচ্ছা এবং সংবর্ধনা জানাচ্ছেন।
আসলে দেশের সেবা এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার মানসিকতা নিয়েই অভিজিৎএর সিভিল সার্ভিসে আসার নেশা চেপে বসেছে। পরপর পরীক্ষায় বসে ব্যর্থও হন।শেষে কর্নাটকে কর্পোরেট সংস্থায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে শিলিগুড়ির বাড়িতে এসে ইউপিএসসির জন্য টানা প্রস্তুতি শুরু করেন।আর তাতেই আসে সাফল্য।
এখন তাকে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তারপর কোথাও মহকুমা শাসক হিসাবে কাজে যোগ দেবেন। আর সে কাজেও তিনি দেশের সেবাকেই বিশেষ প্রাধান্য দিতে চান।এমনকি ভবিষ্যতে বাংলার ছেলেমেয়েদের ইউপিএসসিতে সাফল্যের পিছনে রহস্য কি তা নিয়ে প্রশিক্ষণও দিতে চান।
অভিজিৎ এর বাবা ডাঃ মুকুল রায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত একজন আধিকারিক এবং মা চন্দ্রা রায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। অভিজিৎ এর সাফল্যের পিছনে তাদের বিরাট অবদান রয়েছে।
♦️অভিজিৎকে শুভেচ্ছা
ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল শিলিগুড়ির তরুন প্রতিভা অভিজিৎ রায়কে বিভিন্ন সংস্থা এখন সংবর্ধনা জানিয়ে চলেছে। মেয়র গৌতম দেব, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সকলেই অভিজিৎ এর বাড়ি গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুক্রবার ওয়েস্টবেঙ্গল ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের শিলিগুড়ি শাখার সম্পাদক তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় অভিজিৎকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁর বাড়ি গিয়ে