সঙ্গীতই তাঁর পূজা, সঙ্গীতই তাঁর প্রাণ

শিল্পী পালিতঃ আজ খবরের ঘন্টার এই ওয়েবপোর্টাল নিউজে শিলিগুড়ি মহিলা কলেজ লাগোয়া ডাবগ্রামের চন্দনা চক্রবর্তীর আত্মকথা মেলে ধরা হচ্ছে। গানই তাঁর কাছে পূজা, গানই তাঁর প্রান, শুনুন চন্দনা চক্রবর্তীর কথা —

“গানই সর্বশ্রেষ্ঠ সাধনা
লাগে না ফুল ও চন্দন
মন্ত্র-তন্ত্র লাগে না”….

খুব সুন্দর কথা। এটা মনে হয় আমাদের সব শিল্পীদের মনের কথা। গান আমার পূজা, আমার বাঁচা, আমার প্রান।

খুব ছোট্ট বেলা থেকেই সঙ্গীত চর্চা শুরু করি।তিন বছর বয়স থেকেই রেডিওতে গান শুনে শুনে আর আমার বাবার অনুপ্রেরণায় আমার সঙ্গীত জীবনের সুত্রপাত। গান রেওয়াজ করার জন্য আমায় কখনো বলতে হতো না। বরং একদিন রেওয়াজ না করলে খুব খারাপ লাগত।

এবার আসি আমার সঙ্গীত গুরুজিদের কথায়। যাদের ছত্র-ছায়ায় আমার এই পথ চলা। ওনারা হলেন, স্বর্গীয় শ্রী শরদিন্দু দাসগুপ্ত, শ্রীমতি গৌরী দাসগুপ্ত, স্বর্গীয় উৎপল বোস মহাশয়। ওনাদের সান্নিধ্যে আমার শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিক্ষার সুত্রপাত। পরবর্তীতে আমি আরো মহান শিল্পীদের সান্নিধ্যে আসতে পেরেছিলাম। ওনারা হলেন, শ্রীমতি হৈমন্তী শুক্লা, স্বর্গীয় শ্রী অনল চট্টোপাধ্যায়, স্বর্গীয় শ্রী জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, বিশ্বরুপ ঘোষ দস্তিদার, শ্রী দেবপ্রতীম রায়, শ্রীমতি বর্ণালি বোস এবং শ্রীমতি তনুশ্রী দাস ( গজল)। আজকে যতটুকুই গাইতে পারি তার সবটাই ওনাদের তালিম ও আশির্বাদ।

শিলিগুড়ি রেডিওতে খুব ছোট থেকেই গাইতাম, শিশু মহল থেকে। খুব মিষ্টি সব স্মৃতি। সেই থেকে রেডিও, দুরদর্শনের সাথে রয়েছি এখনো পর্যন্ত। হয়তো জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত থাকব। এছাড়া ইটিভি বাংলা, জিটিভি,রুপসী বাংলা ইত্যাদি কিছু রিয়ালিটি শোতে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমার জীবন সঙ্গী শ্রী মনোজ চক্রবর্তী এবং আমার এক মাত্র পুত্র আত্মজো চক্রবর্তী এরা আর আমার সঙ্গীত এই আমার ভালবাসার পৃথিবী। আমার জীবন সঙ্গী আমায় গান বাজনায় অনেকটাই সহযোগিতা করেছেন এবং উৎসাহ দিয়েছেন। সবশেষে বলব,গান ভালবাসি তাই গাই। কতটা গাইতে পারি জানিনা। তবে সঙ্গীত জগৎ তো সমুদ্র। জানবার, শিখবার কূল-কিনারা নেই।

আমার বাবার কিছু কথা, স্বর্গীয় শ্রী শীতল চন্দ্র ভৌমিক বাবার জন্যই আমার গান, আমার গানের হাতে খড়ি আমার বাবার হাত ধরেই। উনি আমাকে শিখিয়েছেন কি করে গানের কথায় ডুবে যেতে হয়, সেটা অনেকটাই বাবার থেকে শেখা। আমার গানের মুগ্ধ শ্রোতা ছিলেন। খুব মিস করি বাবা তোমায়, যেখানেই আছো, আমার সাথে আছো জানি।<

সবশেষে আমার শ্রোতা বন্ধুরা, যারা আমার গান শুনে আনন্দ পেয়েছেন, আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। তাদের জন্য অনেক শ্রদ্ধা-ভালবাসা।

চন্দনা চক্রবর্তী।
ডাবগ্রাম
মহিলা কলেজের কাছে
শিলিগুড়ি