নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ করোনা লকডাউনের পর শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির ধীমাল জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামের বহু মানুষ আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়েছেন। অনেকেই ভিন রাজ্য থেকে কাজ ছেড়ে গ্রামে চলে এসেছেন। নতুন করে তারা আর কাজ পাচ্ছে না। ফলে আর্থিক দিক থেকে তাঁরা আরও পিছিয়ে পড়ছেন।এই পরিস্থিতিতে ধীমাল সম্প্রদায়ের মানুষকে স্বনির্ভরতার জন্য বাঁশের কাজ শেখাতে চান অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গর্জেন কুমার মল্লিক। উত্তরবঙ্গের প্রাচীন জনজাতি ধীমাল সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য সবসময় প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন গর্জেনবাবু। তিনি চাইছেন ধীমাল সম্প্রদায়ের মহিলারা বাড়িতে বসে স্বনির্ভরতার জন্য বাঁশের বিভিন্ন হস্ত শিল্পের কাজ করুক।তাদের গ্রামে বাঁশও সহজেই পাওয়া যায়। তাছাড়া নেপাল সীমান্ত লাগোয়া ধীমাল গ্রামের কাছে পিকনিক স্পট বা ট্যুরিস্ট স্পট হতে পারে। সেখানে তৈরি হতে পারে হোম স্টেও। গর্জেনবাবু এখন অবসর সময়ে বই লেখার কাজেও মন দিচ্ছেন। তাছাড়া ধীমাল সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে তিনি তাঁর স্ত্রীকে ধীমাল ভাষায় সঙ্গীত ও নৃত্য শিখিয়ে চলেছেন। উত্তরবঙ্গের আদিম জনজাতি ধীমালদের সংস্কৃতি নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গবেষকদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। আর সকলেই সেই সংস্কৃতির খোঁজে গর্জেনবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন