শিল্পী পালিত ঃ আমাদের আত্মকথা বিভাগে আজ কোচবিহারের বিদ্যুৎ ঘোষ তার কথা মেলে ধরেছেন।—
—-আমি বিদ্যুৎ ঘোষ। কোচবিহারের একটি সাংস্কৃতিক পরিবারে আমার জন্ম। বাবা স্বর্গীয় বিরাজ মোহন ঘোষ ছিলেন একজন সঙ্গীতপ্রেমী মানুষ। মা শ্রীমতী ঝর্ণা ঘোষ ছিলেন একজন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী। আমরা চার ভাই বোন। সকলেই গান ও নাচের সাথে জড়িত আছে। মায়ের কাছেই আমার গানের হাতেখড়ি। তারপর গুরু শ্রী দেবব্রত লাহিড়ীর কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নেওয়া। প্রয়াত বিমান মুখোপাধ্যায়ের কাছে নজরুল গীতি ও অন্যান্য গানের শিক্ষা নিয়েছি। আমার স্ত্রী ও মেয়ে আমাকে আগ্রহের সঙ্গে সহযোগিতা করে গান বাজনায়। মেয়ে রাজরুপা নাচ ও গানের চর্চার মধ্যে আছে। মূলত সুর তাল ছন্দের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছি আমি। ছোটবেলা থেকে শুধু গান নয় পাশাপাশি তবলা, সিন্থেসাইজার, মাউথ অরগান বাজাতাম। মঞ্চে বিভিন্ন ধরনের গান পরিবেশন করতে ভালোবাসি। সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক পরিষদ থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেছি। এছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর সন্মান পেয়েছি। ভারত সরকারের সঙ্গীত ও নাটক বিভাগের সাথে দীর্ঘ ২০ বছর যুক্ত থেকেছি। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় প্রোগ্রাম করেছি। আমাদের দলটির নাম ছিল OASIS . বিখ্যাত সুরকার প্রয়াত জগন্ময় বন্দোপাধ্যায়ের প্রায় শতাধিক গানের সুর আমি করেছি। ৬ টি MUSIC VIDEO করেছি যেমন নজরুল গীতিতে প্রিয়তম,আধুনিকে মাটির টানে, নিঝুম রাতে, তুমি ভালো থেকো, ইত্যাদি। বাংলা ভজন এর রাধে রাধে বলে। আমি মূলত ক্লাসিকাল ও নজরুল গীতি শেখাই। দীর্ঘ ৪০ বছর গানের জগতে থেকে অনেক রকম উপলব্ধি এসেছে যেমন, যেকোনো গানকেই নিজের মতো করে গাওয়া উচিত। সঙ্গীত নিয়ে আরও কিছু করার পরিকল্পনা আছে। সঙ্গীত আমার সাধনা, সঙ্গীত আমার প্রাণ।এই প্রজন্মের সঙ্গীত শিল্পীদের বলতে চাই যে,, অধ্যাবসায় বাড়ানো দরকার। সব শেষে বলবো সঙ্গীত সাধনার মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর কে খুঁজে পাওয়া যায়। ভবা পাগলা বলে গেছেন “”” গানই সর্ব শ্রেষ্ঠ সাধনা “”।