নিজস্ব প্রতিবেদনঃ শিলিগুড়ি শ্মশানঘাটের পাশেই রাজেন্দ্রনগর কলোনি বা কুলি পাড়া। শহরের অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া বস্তিগুলোর মধ্যে এটি একটি। সেই কুলিপাড়ার পিছিয়ে পড়া অঞ্চল থেকে ডাক্তারিতে সুযোগ পেয়ে পড়াশোনা করছে দুই ভাই। ভবিষ্যতে তাদের উদ্দেশ্য,ডাক্তার হয়ে পিছিয়ে পড়া গরিবদের পাশে দাঁড়ানো।
একজন শুভম পাশওয়ান। আর একজন সিদ্ধার্থ পাশওয়ান। শুভম কলকাতার পিজি এস এস কে এমে তৃতীয় বর্ষের এম বি বি এস ছাত্র। আর সিদ্ধার্থ উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে এম বি বি এসের প্রথম বর্ষের ছাত্র। দুই ভাইয়ের বাড়ি শিলিগুড়ি কুলিপাড়া রাজেন্দ্রনগর কলোনিতে। একটি পিছিয়ে পড়া এলাকায় বসবাস করেও দুই ভাই তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখেছে।তারা এখন ডাক্তারি পড়ছে। ভবিষ্যতে তারা ডাক্তারি পাশ করে পিছিয়ে পড়া গরিবদের জন্য কিছু কাজ করতে চায়। আর তাদের এই ভাবনার পিছনে প্রেরনা হিসাবে যেমন তাদের বাবা ডাঃ হীরালাল পাশওয়ান রয়েছেন তেমনই আদর্শ হিসাবে রয়েছেন বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ শীর্ষেন্দু পাল।
ডাক্তারির এই দুই ছাত্র ছট পুজো উপলক্ষে তাদের বাড়ি কুলিপাড়ায় এসেছে শুক্রবার। এদিন সেখানকার বিধান স্পোর্টিং ক্লাবে সর্বোদয় সমাজ ছট ব্রতীদের মধ্যে শাড়ি বিতরনের উদ্যোগ নেয়। সেই সময় শাড়ি বিতরন করেন ডাক্তার শীর্ষেন্দু পালও। উপস্থিত ছিলেন ডাঃ হীরালাল পাশওয়ান ছাড়াও সর্বোদয় সমাজের সভাপতি মনোজ কুমার রায়, মধূসুধন সাহানি, আয়কর অফিসার টি এল ভুটিয়া। সেই সময় সেখানে উপস্থিত হয়ে দুই ডাক্তারির ছাত্র শুভম ও সিদ্ধার্থ তাদের বাবার প্রেরনার কথা উল্লেখ করে ডাক্তার শীর্ষেন্দু পালের আদর্শের কথা উল্লেখ করে। তাদের বক্তব্য, ডাঃ শীর্ষেন্দু পাল যেভাবে গরিব রোগীদের কথা চিন্তা করে কাজ করেন তা অনুসরণ করার মতো। তারাও ভবিষ্যতে এভাবে বিনামূল্যে গরিব রোগীদের চিকিৎসা করবে। ডাঃ হীরালাল পাশওয়ান বলেন, তিনিও ডাক্তার শীর্ষেন্দু পালকে অনুসরন করছেন। মধূসুধন সাহানি তার বক্তব্যে বলেন, আজকের সমাজে ডাঃ শীর্ষেন্দু পালের মতো ডাক্তার বিরল।