নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ পাঁচ বছর পার করেছে দীপশ্রী।শিলিগুড়ি সারদা শিশু তীর্থ সেবক রোডের ইউ কে জিতে পড়ে ও।কিন্তু এই বয়সেই গুরুজনদের ভক্তি করে দীপশ্রী।সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবা-মাকে প্রনাম করে।আবার ঠাকুরের সিংহাসনের সামনে গিয়ে ঠাকুরকে ফুল বেল পাতা দেয়।সন্ধ্যে হলে মা এর সঙ্গে সন্ধ্যারতিতেও সামিল হয়।শুধু কি তাই, নিজে থেকেই ছবি আঁকে দীপশ্রী। নিজেই ও গান করে। নিজেই নাচ করে। সৃজনমূলক কাজের প্রতি এই বয়স থেকেই ওর খুব আগ্রহ। সবচেয়ে বড় কথা,অঙ্কন,সঙ্গীত,নৃত্য কারও কাছে ও শেখে নি।স্বেচ্ছায় ও ভারতের জাতীয় পতাকা আঁকতে ভালোবাসে।ওর এইসব গুন,মনে ভক্তিভাবের প্রভাবে এবার শিলিগুড়ি দুই মাইল শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটির আশ্রমে কুমারি পুজোর জন্য মনোনীত হয়েছে দীপশ্রী। মহাষ্টমী তিথিতে দেবী দুর্গা প্রতিমার সঙ্গে দীপশ্রীকে এবার কুমারি হিসাবে পুজো করা হবে। শিলিগুড়ি আশ্রমপাড়ায় দীপশ্রীদের বাড়ি। ও এখন সময় পেলেই ধ্যান বা মেডিটেশন করছে।মনের একাগ্রতা বৃদ্ধির জন্য অনুশীলন চলছে। ওর বাবা দেবাশীষ ভট্টাচার্য এবং মা রিয়া ভট্টাচার্য। তাঁরা জানালেন,দীপশ্রী পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে বাবা মা,গুরুজন এবং ঈশ্বরকে ভক্তি নিবেদনের মাধ্যমে সব কাজ করে। আর সৃজনমূলক কাজে ওর রয়েছে স্বতঃস্ফূর্ততা,কেও ওকে শিখিয়ে দেয়নি অঙ্কন বা সঙ্গীত।যেহেতু দুই ঘন্টা বসে থাকতে হবে কুমারী পুজোর জন্য তাই এখন প্রতিদিন চলছে অনুশীলন। সারদা শিশু তীর্থ সেবক রোড দুই মাইল থেকেও দীপশ্রীকে পড়াশোনায় উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। সারদা শিশু তীর্থ সেবক রোডের স্কুলে শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটি থেকে কুমারী পূজার জন্য নাম চাওয়া হলে সবদিক বিচার করে দীপশ্রীর নাম চূড়ান্ত করা হয়। এতে বেশ খুশি দীপশ্রীর বাবা মা।শিলিগুড়ি জ্যোতিনগর শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক কমল কুমার মজুমদার জানিয়েছেন, এবারেও মহাষ্টমী তিথিতে তাঁরা নিষ্ঠা ও ভক্তির সঙ্গে কুমারী পুজোর আয়োজন করেছেন। সেই আশ্রমে সকলকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কমলবাবু।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—-