নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদা, ১ অক্টোবরঃ মহানন্দার জলে নতুন করে প্লাবিত মালদা জেলার চাঁচল মহকুমার মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। মতিহারপুর, মহানন্দাপুর ও খরবা পঞ্চায়েতের প্রায় সব কয়টি গ্রাম মহানন্দার জলে প্লাবিত। এলাকার প্রায় কোমড় সমান জল। প্রচুর মানুষ ঘরছাড়া হয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। শুরু হয়েছে পানীয় জল থেকে খাদ্যের সংকট। এলাকার প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। মানুষ থেকে শুরু করে গবাদি পশুর খাদ্য অমিল।
তবে এর মধ্যেও চাঁচল মহকুমার সন্তোষপুরের বাসিন্দা তথা পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক মহম্মদ ওয়াহেদুজ্জামান বাচ্চু তার নিজের মাইনে থেকে সাহায্যের হাত পৌঁছে দেন জলবন্দী মানুষগুলোর জন্য। কোমড় সমান জলে নেমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজের হাতে দুশো প্যাকেট শুকনো চিড়ে এবং গুড় পৌঁছে দিয়েছেন জলবন্দীদের হাতে। খাওয়ার প্যাকেটের পাশাপাশি পৌঁছে দিয়েছেন দু হাজার লিটার পানীয় জলও।
জলবন্দী সোহাগ খাতুন জানান, বন্যার ফলে এলাকায় খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন না তারা। তাই টিনের নৌকা তৈরি করে বাজার থেকে জল ও খাওয়ার জিনিসপত্র নিয়ে আসতে হচ্ছে তাদের। এই চরম সময়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের উদ্যোগে কিছুটা হলেও সমস্যার সমাধান হয়েছে তাদের।জলবন্দী মিনসারা বিবি জানিয়েছেন, বাড়িতে ছোট ছোট শিশুরা রয়েছে। তাদেরও পর্যাপ্ত খাবার নেই। সরকার থেকে এখনও কোনও ত্রাণের ব্যবস্থা না করায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটছে তাদের।এক কোমর জলে দাঁড়িয়ে এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ জনি জানান, এলাকায় বন্যার জল-এর কারণে খাদ্য এবং পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। আর কয়েকদিন পরিস্থিতি এরকম থাকলে এলাকার মানুষদের না খেয়ে থাকতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মহম্মদ জনি।
চাঁচল-১ এর বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, নদীর পাড়ের কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে বুধবার বানভাসি এলাকাগুলি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। ওই এলাকার মানুষদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে প্রশাসনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রয়েছে বলে দাবী করেছেন তিনি।