নিজস্ব প্রতিবেদনঃ রবিবার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ শুরু হল উত্তরবঙ্গের হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে। এদিন হলদিবাড়ি থেকে স্টোন চিপস নিয়ে একটি মালগাড়ি রওনা দেয় বাংলাদেশের সীমান্ত রেল স্টেশন চিলাহাটির উদ্দেশ্যে। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ওই সীমান্ত স্টেশনে রেল যোগাযোগ ছিল।তখন অবশ্য বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়নি।তখন ছিল পূর্ব পাকিস্তান। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির মধ্যে ব্রডগেজে রেল যোগাযোগের প্রধান রুটও ছিল এটাই। এমনকি পূর্ব পাকিস্তান থাকার সময়ও অসম এবং উত্তরবঙ্গে রেল যোগাযোগ হোত এর মাধ্যমেই।কিন্তু ১৯৬৫ সালে যুদ্ধের পর সেই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।এখন আবার নতুন করে শুরু হল ঐতিহাসিক রেল যোগাযোগ। ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেল যোগাযোগের শুভ সূচনা করলেও এতদিন করোনা পরিস্থিতির জন্য রেল যোগাযোগ শুরু হয়নি।দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সূচনা করা রেল যোগাযোগের বাস্তব প্রতিফলন ঘটল রবিবার হলদিবাড়ি থেকে মালগাড়ি যাত্রার মাধ্যমে। এই রেল যোগাযোগ শুরু হওয়ায় অসম, পশ্চিমবঙ্গ, নেপাল, ভুটান সর্বোপরি দক্ষিন এশিয়ার অর্থনৈতিক বিকাশে অনেকটাই প্রভাব ফেলবে বলে জানা গিয়েছে। এদিন বি এস এফের পদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে স্টোন চিপস বোঝাই ওই মালগাড়ি রওনা দেয়।
এদিন বিকেলে আন্তর্জাতিক সীমান্তের গেট পার করে ৪০টি বোলডার বোঝাই ওয়াগন ও একটি ব্রেক ভ্যান নিয়ে বাংলাদেশের চিলাহাটি স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ওই পণ্যবাহী ট্রেন।এই মাল ট্রেন যাতায়াতের সময় সাক্ষী থাকলো এপার বাংলা ওপার বাংলার হাজার হাজার মানুষ।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে পুনরায় রেল যোগাযোগ চালু হওয়ায় খুশি দুই বাংলার মানুষ।
রবিবার সকালে ডুয়ার্সের ডামডিম স্টেশন থেকে ৫৯টি ওয়াগনে পাথর বোঝাই করে একটি ট্রেন এনজেপি, জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে সকাল এগারোটা নাগাদ হলদিবাড়ি স্টেশনে এসে পৌঁছায়।এরপর হলদিবাড়ি স্টেশনে কাগজপত্র পরীক্ষার পর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্তের গেট পার করে ৪০টি ওয়াগন ও একটি ব্রেক ভ্যান নিয়ে বাংলাদেশের চিলাহাটি স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ট্রেনটি।