শিল্পী পালিত : আজ আমাদের আত্মকথা বিভাগে প্রকাশিত হল দিদার চোখে নাতি….
বীণাপাণির অনুরোধে আমার নাতি দেবাদিত্যের ওপরে কিছু লিখছি।কোনদিন এভাবে কিছু লিখিনি। এটা আমার আসে না। দেবাদিত্য আমার মেয়ে ডক্টর সোহিনী সেনগুপ্ত নাহার একমাত্ৰ ছেলে ও আমার একমাত্ৰ নাতি। দিদা-ঠাকুমারা সব সময় নাতি- নাতনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আমিও তার ব্যাতিক্রম নই। জন্মের পর থেকেই ক্লাস সেভেন এইট পর্যন্ত আমার কাছে থেকেই মানুষ হয়েছে। সেই সময়টা ওর বাবার বাইরে পোস্টিং… ওর মা… তার হাসপাতাল নিয়ে ব্যাস্ত। সেজন্য আমার সাহচর্যটাই ও বেশী পেয়েছে।খুবই মেধাবী ছাত্র। পড়াশুনো ছাড়াও বহুমুখী প্রতিভা ছোটবেলা থেকেই দেখা গেছে। গান, বাজনা, আঁকা, নানারকম হাতের কাজ, মাটি দিয়ে মূর্তি বানানো… এ সবে খুব উৎসাহ ছিল। আমার বাপের বাড়ি গানের বাড়ি। আমার মা বাবা গান জানতেন। আমরা ভাই বোনেরাও গাইতে পারি। আমার মেয়ে ভালো রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়। সুতরাং গান বাজনাটা দেবাদিত্যর জন্মগত প্রতিভা।সব ধরনের গান’ই ও গাইতে পারে। সেতার, বেহালা, গীটার সব’ই বাজাতে পারে। আঁকা তো ওর খুব পছন্দের তালিকায়। ওর বাবা মায়ের ইচ্ছা ছিল মায়ের মত ডাক্তার হোক। মোটা মোটা বই পড়া একেবারেই পছন্দ নয়। তাই ওর পছন্দমত সাবজেক্ট (গ্রাফিক ডিজাইন) নিয়ে পড়াশোনা করছে। ওর ছোটবেলার দুষ্টুমির কথা বলে শেষ করা যাবে না। এখনো প্রচণ্ড ছটফটে। খুব মিশুকে ও হুল্লোড়ে। ওর মিষ্টি ব্যাবহারের জন্য ওকে সবাই খুব ভালোবাসে। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি দেবাদিত্য মানুষের মত মানুষ হোক।
Dhiman Naha
Flat No.8; p – 160
Block A ; Lake Town
Kolkata – 700089.